আওয়ার ইসলাম: সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১০ মে) প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হয়েছে প্রস্তাবটি ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল নাকি সংস্কার হবে এ কমিটি সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
পরে সেটা সবাইকে (প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে) জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে, কবে হবে সেটা বলতে পারব না। মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রধান করে কমিটি গঠনের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি। এটা আজকে সকালে পৌঁছেছে। এটা যদি প্রধানমন্ত্রী দেখেন তবে দুই-এক দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত দেবেন।
কমিটি সুপারিশ করবে। কমিটির সুপারিশ সরকার অনেক সময় পুরোপুরি রাখে, অনেক সময় আংশিক রাখে। এরপর একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে— যেটা সবাই চাচ্ছে, আশা করি সেটা হবে। ’
তিনি বলেন, ‘কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন ওইটা আমাদের মাথায় রাখা ভালো। পরে বাস্তবে কি ঘটবে সেটা পরে দেখা যাবে।’
উল্লেখ্য, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষিত কোটা ৫৬ শতাংশ। বাকি ৪৪ শতাংশ মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে নেওয়া হয়। বিসিএসের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০, জেলা কোটায় ১০, নারী কোটায় ১০ ও উপজাতি কোটায় ৫ শতাংশ চাকরি সংরক্ষণ করা আছে। এ ৫৫ শতাংশ কোটায় পূরণযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেক্ষেত্রে ১ শতাংশ পদে প্রতিবন্ধী নিয়োগের বিধান রয়েছে কোটায়।
আরো পড়ুন- সরকার ব্যাংক খাতকে দেউলিয়া করে দিয়েছে: ফখরুল