আওয়ার ইসলাম: টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়ন কাঞ্জর পাড়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে হয়ে আব্দু শুক্কুর (৬০) খাইরুল বশর (৩৫) বদিউজ্জামান(৩০) এদের তিনটি বসতবাড়ি পুড়ে ছাই।ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। শিশু ও বৃদ্ধা সহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
০৯মে ভোর ৫টায় উপজেলার কাঞ্জর পাড়া গ্রামে আব্দু শুক্কুর(৬০)এর বাড়ির লোকজন রান্না কাজ করার সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে বাড়িতে আগুন লাগে।
আগুন মুর্হুতের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ায় বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা আব্দু শুক্কুরে শাশুড়ি এলেনা খাতুন(৯০) পুড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়।স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালালেও আগুনের গতিবেগ বেশি হওয়ায় বাড়ি ভিতরে থাকা বৃদ্ধা এলেনা খাতুন ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও মালামাল রক্ষা করতে পারেনি।
ঘটনাস্থলে ৭জন আগুনে দগ্ধ হয়েছে,তারা হলেন,খাইরুল বশর (৩৫)বদিউজ্জামান (৩০) ফাতেমা খাতুন(২৭) বুসরা আক্তার(১২)রোমা আক্তার(৪) রুনা আক্তার(৩)সুমাইয়া আক্তার(১০)।
তাদেরকে চট্রগ্রাম মেডিকেল উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠালে অগ্নিদগ্ধ ছোট্র শিশু রুমা আক্তার(৪) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল হাসান ও হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী,হোয়াইক্যং পুলিশ ফাড়ি আইসি এসআই বিবেক দাশ,স্থানীয় মেম্বার আব্দুল গাফ্ফার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এবং উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল হাসান ক্ষতিগ্রস্থদের খোজ খবর নেন,এবং নিজের ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে প্রতি পরিবারকে ১হাজার টাকা করে দেন।
টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল হাসান জানান ,স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল গাফ্ফারে কাছ থেকে হোয়াইক্যং কাঞ্জর পাড়ায় বসতবাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত আমি ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের ঘটনাস্থলে পাঠাই।এবং ক্ষয়ক্ষতি হওয়া বসতবাড়ি গুলো পরিদর্শন করি।ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের পুর্ণবাসনেরও ব্যবস্থা করতেছি এবং আমি ঘটনাটি কক্সবাজার ডিসি স্যারকে অবহিত করলে তিনি প্রতি পরিবারকে ২০হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার ঘোষানা দেন।
আরো পড়ুন- রমজানের বিশ্বসেরা পাঁচ সংগীত