আবদুল্লাহ তামিম: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার সূুতিনকলা গ্রামের স্থানীয় ইমাম মেরাজউদ্দিন মুন্সি হত্যা মামলায় তিন সহোদরসহ ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার দণ্ড দেওয়া হয়েছে। কিশোরগঞ্জের তৃতীয় আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আবু তাহের আজ বুধবার (৯ মে) আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, আল্লাদ শাহ, মোকলেছুর রহমান শাহ ও আতাউর রহমান শাহ, শামসুদ্দিন শাহ, সফির উদ্দিন শাহ, রঞ্জন শাহ, অহিদ শাহ, চন্দন শাহ, আসলাম মিয়া, মন্টু মিয়া ও জামাল শাহ।
তাছাড়াও আসামি সবুজ মিয়া, কাঞ্চন সাহা, ফজলু সাহা, রফিক ভুইয়া, জালাল উদ্দিন শাহ ও লিটনকে দণ্ডবিধির ৩২৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাস দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া দণ্ডবিধির ১৪৮ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। উভয় দণ্ড একসঙ্গে চলবে। সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর আট আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০০ সালের ২৪ মার্চ সকালে কটিয়াদী উপজেলার ধুলদিয়া ইউনিয়নের সূতিনকলা গ্রামে ধানকাটা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দেশিয় অস্ত্রের আঘাতে মারা যান স্থানীয় মসজিদের ইমাম মেরাজউদ্দিন মুন্সি ওরফে আবু জাহের।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আবু বকর বাদি হয়ে কটিয়াদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে মোট ৩৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার বিচার চলাকালে আট আসামি মৃত্যুবরণ করে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এম.এ. রশিদ।