আওয়ার ইসলাম : তিন পার্বত্য জেলায় শিগগিরই যৌথ অভিযান চালাবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে সেনা বাহিনীর সহায়তায় এই অভিযান পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডি আই জি।
আঞ্চলিক দলগুলোর আধিপত্য বিস্তারের বিরোধকে কেন্দ্র করে পার্বত্য অঞ্চলে দু’দিনের ব্যবধানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ছয় জন নিহত হওয়ার প্রেক্ষিতে এই যৌথ অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'চাঁদাবাজির জন্যই মূলক চারটি সংগঠন গড়ে ওঠেছে। চাঁদাবাজির কারণেই পার্বত্য এলাকা তারা চষে বেড়াচ্ছে।'
রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুছা মাতব্বর বলেন, 'এখনই যৌথ অভিযানের সময়। একজন জনপ্রতিনিধিকে দিনে দুপুরে হত্যা করা কারোর কাম্য নয়।'
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার দুর্গম এলাকা হিসাবে পরিচিত বাঘাইছড়ি, বরকল, বিলাইছড়ি, মারিশ্যা এবং লংগদু এলাকায় দুর্বৃত্তরা অনেকটা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আছে।
সবশেষ বৃহস্পতিবার নানিয়ারচর এলাকায় সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নিহত হয় ৫ জন। এর আগের দিন একই এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেএসএস নেতা অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা। এ অবস্থায় পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার কথা বলছেন মানবাধিকার কর্মীরা।
মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান বলেন, 'আঞ্চলিক দলগুলোর মধ্যে যে আত্মঘাতী সংঘাত শুরুর হয়েছে আমরা যেটাকে ভ্রাতৃঘাতীও বলি এটা আসলে খুব অনাকাক্ষিত।
পার্বত্য চট্টগ্রাম অধিবাসী ফোরামের সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা বলেন, 'অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখীন করা অত্যন্ত জরুরি।'
তবে গহীন অরণ্যের দুর্গম এলাকা হওয়ায় অভিযান চালাতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে চরম বেগ পেতে হয়। আর এই সুযোগে পালিয়ে যায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।
আরো পড়ুন : সিসি ক্যামেরায় চকচকে ৩ চোর : ধরা পড়েনি ১৯ দিনেও (ভিডিও)
এসএস