হামিম আরিফ: ঘুমের মধ্যে নাক ডাকেন অনেকেই। যিনি নাক ডাকেন, তার জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। আর পাশের মানুষটির জন্য তা অবধারিত হয়ে ওঠে চরম বিরক্তিকর।
সাধারণ কতগুলো নিয়ম মেনে চললে নাক ডাকার এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যেতেই পারে।
১. যারা নাক ডাকেন, তারা চিৎ হয়ে না ঘুমিয়ে কাত হয়ে ঘুমোতে পারেন। চিৎ হয়ে ঘুমলে গলার পেশি শিথিল থাকে। ফলে নাক বেশি ডাকার আশঙ্কা থাকে।
২. স্থুলতার কারণে শুধু ডায়াবেটিস নয়, বিভিন্ন সমস্যায় ভোগেন একজন মানুষ। স্থুলতার কারণেও অনেকে নাক ডাকতে পারেন। বেশি ওজনের কারণে গলার পথ সরু হয়ে যায়। এর ফলে শ্বাস নেওয়ার সময় টিস্যুগুলোতে ঘষা লাগে। শ্বাস নেওয়ার সময় শব্দ হয়।
৩. অ্যালকোহল বা নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করার পরে অনেকে নাক ডাকেন। বিশেষ করে ঘুমোতে যাওয়ার সময় যারা অ্যালকোহল পান করেন, তারা বেশি নাক ডাকেন। এ জন্য নেশা ছাড়ুন।
৪. মাথায় নিচে কয়েকটি বালিশ দিয়েও নাক ডাকা কমানো যেতে পারে। মাথার নিচে বালিশ দিলে মাথার চেয়ে বুক কম উঁচুতে থাকে। এতে করে নাক ডাকার আশঙ্কা কিছুটা কমে যায়।
৫. ধূমপান করলে শরীরের অক্সিজেন ব্যবহারের ক্ষমতা কমে যায়। এর ফলে বাতাস বের হওয়ার পথ সংকুচিত হয়ে পড়ে। এর কারণেও নাক বেশি ডাকতে পারেন অনেকে। তাই ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করাই ভালো।
৬. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যেস করা উচিত। এতে করে ঘুমের সঙ্গে শরীরের একধরনের সামঞ্জস্য তৈরি হয়। ফলে অভ্যেসের পরিবর্তন হয়।
৭. শরীরচর্চা করলে পেশী, রক্ত চলাচল ও হৃৎপিন্ডের স্পন্দন বাড়ে। শরীরচর্চা করলে ঘুমও ভাল হয়। এ কারণে নাক ডাকা কমাতে হলে প্রতিদিন ৩০ মিনিট শরীরচর্চার অভ্যাস করা জরুরি।
৮. দৈনিক প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া উচিত। এতে করে নাসারন্ধ্রে লেগে থাকা আঠার মতো দ্রব্যগুলি দূর হয়ে যায় এবং নাক ডাকা কমে যায়।
৯. নাক পরিষ্কার রাখাটা খুবই জরুরি। কারণ, এতে করে একজন ব্যক্তি সহজভবে নিঃশ্বাস নিতে পারেন। এ কারণে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভালো ভাবে নাক পরিষ্কার করতে হবে। এমনকি এ ক্ষেত্রে ইনহেলার ব্যবহার করা যেতে পারে।
১০. ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘন্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে জেগে থাকা অবস্থায় খাবার হজম হয়ে যাবে। এর ফলে রাতে ভালো ঘুম হবে। নাক ডাকাও কমবে। -সূত্র ইন্টানেট
-আরআর