আওয়ার ইসলাম: বিয়েতে অনিয়ম রোধে সৌদি সরকার বিদেশিদের বিয়ে করার ক্ষেত্রে নতুন শর্ত বেঁধে দিয়েছে। নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, দম্পতিদের বয়সের পার্থক্য ১৫ বছরের বেশি হওয়া যাবে না। যা এর আগে ছিল ৩০ বছর।
ডেইলি ওকাজের বরাত দিয়ে গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলেছে, সৌদি নারীদের মধ্যে যিনি বিদেশি স্বামী নিতে চান তার বয়স ৫০ বছরের বেশি হওয়া যাবে না। এর আগে সর্বোচ্চ ৫৫ বছরের কথা উল্লেখ ছিল।
এ নিয়ে দেশটির আইন মন্ত্রণালয় জানায়, বিবাহিত সৌদি নারীদের মধ্যে প্রায় ৭ লাখ সৌদি নারী বিদেশিদের বিয়ে করেছেন।
সৌদি পরিবারগুলোর কল্যাণের জন্য চ্যারিটেবল সোসাইটির আওসিরের প্রধান তৌফিক আল সোয়ায়লেম বলেন, গত ২০ বছরে বিদেশি নারীদের সঙ্গে সৌদি পুরুষদের বিয়ে একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। যৌতুকের উচ্চ হার, বিয়ের খরচ, কম আয় এবং পারিবারিক জ্ঞানের অভাবের কারণেই সৌদি পুরুষরা বিদেশিদের স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করছেন।
সৌদি ডেইলি আল ওয়াটানের খবরে বলা হয়, সৌদির বিদেশি স্ত্রীদের শতকরা ৬৪ ভাগ এশিয়ার দেশগুলো থেকে এসেছে। এছাড়া শতকরা ১৯ ভাগ আফ্রিকান, আরব উপসাগরীয় দেশগুলোর শতকরা ৪ দশমিক ৩ ভাগ এবং পশ্চিমের দেশগুলো থেকে আসা বিদেশি নারীরা হলেন শতকরা ৪ ভাগ।
সংশোধনীর নতুন নিয়ম অনুসারে, একজন সৌদি পুরুষের বয়স ৪০ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে হলে তিনি বিদেশি কোনো নারীকে বিয়ে করতে পারবেন। অন্যদিকে এক সৌদি নারী বিদেশি কোনো পুরুষকে বিয়ে করতে চাইলে তার বয়স হতে হবে ৩০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।
একজন সৌদি পুরুষ বিয়ে করে মাসে কমপক্ষে তিন হাজার সৌদি রিয়াল খরচ করে কোনো বাড়িতে থাকতে পারবেন। আবার যাকে তিনি বিয়ে করবেন তার বয়স কমপক্ষে ২৫ বছর হতে হবে এবং বয়সের পার্থক্য কোনমতেই ১৫ বছরের বেশি হওয়া যাবে না।
যদি পাত্রী ডিভোর্সী হয় তাহলে বিচ্ছেদের পর কমপক্ষে দুই বছর অপেক্ষা করতে হবে। তারপর তিনি বিয়ে করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবার তিনি নিজে যদি সৌদি কোনো নারীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ থাকার পরও কোন বিদেশিকে দ্বিতীয় বিয়ে হিসেবে গ্রহণ করতে চান তাহলে এর জন্য সরকারি একটি সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে।
তাকে এটা প্রমাণ করতে হবে, বিয়ে সংক্রান্ত সব দায়িত্ব পালনে প্রথম স্ত্রী অক্ষম। সার্টিফিকেটে অবশ্যই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদিত হতে হবে।
২৫ বছর ধরে অসুস্থ স্বামীর খেদমতে এক সৌদি নারী
রোরা