আওয়ার ইসলাম: রাজবাড়ীর পাংশায় স্ত্রীকে মেরে স্বামী আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ঘটনার পর নিজ ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত গৃহবধূ ঝর্না বেগম [৪০] ও স্বামী মো. দেলবর আলী [৬০]।
গতকাল রবিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের মেঘনা খামারপাড়া গ্রাম থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।
পুলিশ ধারণা করছে, পারিবারিক কলহের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামী নিজে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
দেলবরের প্রতিবেশী ও স্থানীয় মাছপাড়া ইউপি সদস্য মো. নজরুল ইসলাম জানান, দেলবর ও ঝর্না বেগমের পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলেরা কেউ বাড়িতে থাকেন না। ১১ বছর বয়সী মেয়ে থাকে পাশের বাড়িতে। ঝর্না দুবাই প্রবাসী ছিলেন। ছয়মাস আগে তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। এর কয়েকদিন পর তিনি বরিশালে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে রান্নার কাজ নেন।
ঝর্নার এ কাজে রাজি ছিলেন না তার স্বামী দেলবর। দেলবরের সন্দেহ ছিল ওই ব্যক্তির সঙ্গে ঝর্নার পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। এই নিয়ে মাঝেমধ্যেই তাদের ঝগড়া লেগেই থাকতো।
কয়েকদিন আগে ঝর্না বাড়িতে এলে দেলবর তাকে বরিশালে যেতে নিষেধ করেন। কিন্তু ঝর্না তার কথা না শুনে বরিশাল যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে গত পাঁচ-ছয়দিন ধরে কথা কাটাকাটি চলছিল।
নিহত ঝর্নার মেয়ে রাবেয়া জানায়, তার মা বরিশাল থেকে বাড়ি ফিরলেও সংসারের কাজ ফেলে সব সময় মোবাইলে কথা বলায় ব্যস্ত থাকতো। এ নিয়ে বাবার সাথে প্রায়ই ঝগড়া হতো। গত রাতে ঘটনার সময় রাবেয়া পাশের বাড়িতে ঘুমিয়েছিল।
এইচজে