ডেস্ক: রংপুরের কাউনিয়ায় মাজারের খাদেম রহমত আলীকে হত্যার মামলায় নব্য জেএমবির ১৩ জঙ্গির বিরুদ্ধে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আগামী ১৮ মার্চ চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ঘোষণা করেছেন আদালত।
রবিবার (৪ মার্চ) দুপুরে রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকার আসামি ও বাদীপক্ষের যুক্তি-তর্ক শোনার পর মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন।
এর আগে, কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রহমত আলী হত্যা মামলার আসামি নব্য জেএমবির সদস্যদের আদালতে নিয়ে আসা হয়। শুনানি শেষে তাদের একইভাবে কারাগারে পাঠানো হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক বলেন, পুলিশ এই মামলায় ১৩ জঙ্গির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে। এদের মধ্যে ১১ জন গ্রেফতার হয়েছে, দুই জঙ্গি এখনও পলাতক।
তিনি জানান, মামলায় চার জঙ্গি আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মামলায় বাদীসহ ৪৬ জনের সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়েছে।
অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক বলেন, ‘আমরা জঙ্গিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে যুক্তি উপস্থাপন করেছি। আশা করি, আদালত তাদের সর্বোচ্চ সাজা দেবেন।’
আসামীরা যে নব্য জেএমবির সদস্য ও বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিল, তা তারা প্রকাশ্য আদালতে স্বীকার করে নিয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট রথিশ চন্দ্র ভৌমিক।
তিনি বলেন, ‘মামলার অন্যতম অন্যতম আসামি জাহাঙ্গীর ওরফে রাজিব কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে অবলীলায় নিজের অপরাধ স্বীকার করে। সে জেএমবির সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে বলে, হাইকমান্ডের নির্দেশে বিভিন্ন কিলিং মিশনে তারা অংশ নিয়েছে।
নব্য জেএমবির তামিম চৌধুরীসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে তাদের সঙ্গে রংপুর-বগুড়াসহ বিভিন্ন স্থানে বৈঠকের কথাও বলেছে। রাজশাহীর চার্চে হামলার কথাও অকপটে স্বীকার করে সে। তবে মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যার সাথে জড়িত ছিলো না বলে দাবি তার’।
আসামিরা যেভাবে আদালতে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে, তাতে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত বলে জানান রথিশ চন্দ্র।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাতে বাজার থেকে বাসায় ফেরার পথে রহমত আলীকে কুপয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তার ছেলে অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এসএস/