তামিম আহমেদ: মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন। এ ধর্মগ্রন্থটি সর্বোচ্চ যত্নে সংরক্ষণ করেন তারা। পবিত্রতা রক্ষায় ব্যবহার করার সময় তো বটেই, পুরোনো হয়ে গেলেও গ্রন্থটির বিশেষ মর্যাদা দেন মুসলিমরা।
পুরনো হয়ে যাওয়ার পর বিভিন্নভাবে কুরআন সংরক্ষণের রীতি রয়েছে। পাকিস্তানের কোয়াটা শহরে গ্রন্থটি সংরক্ষণ করা হয় একটি পাহাড়ের তলদেশের সুড়ঙ্গে। সুড়ঙ্গটি দুই মাইল লম্বা। সেখানে কোরআনগুলো বস্তায় ভরে স্তুপ করে রাখা হয়। প্রতিটি বস্তায় থাকে ১০টি কোরআন। সুড়ঙ্গের দুপাশে রাখা থাকে বস্তাগুলো।
পাকিস্তানের ওই সুড়ঙ্গে কাজ করেন আব্দুর রশিদ লেহরি নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘আমার বড় ভাই কোরআন ভালোবাসেন। যেসব কোরআন ফেলে দেওয়া হতো, তিনি সেগুলো সংগ্রহ করতেন। এর পর তিনি এগুলো তার গাড়িতে যত্ন করে রেখে দিতেন। এই কাজ দেখে তার অনেক বন্ধু তাকে সাহায্য করা শুরু করেন। এরপর আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা এ জায়গাটি তৈরি করি।’
আব্দুর রশিদ লেহরি আরও বলেন, প্রতিদিন এখানে বহু পুরনো কোরআন আনা হয়। যেগুলোর পৃষ্ঠা খুব বেশি ছিঁড়ে যায়নি, সেগুলোকে নতুন করে বাঁধাই করার জন্য আলাদা করে রাখা হয়। এরপর বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা এবং দরিদ্র মানুষের মধ্যে সেগুলো বিতরণ করা হয়।
এভাবে পুরনো কোরআন দিয়ে একটি সুড়ঙ্গ ভর্তি হয়ে গেলে নতুন আরেকটি নির্মাণ করে থাকেন দুই ভাই। এটা বানানো সময় এমনও হয়েছে যখন সারা দিনে মাত্র ১৫ সেন্টিমিটার খোঁড়া সম্ভব হয়েছে। কারণ পাথর অনেক কঠিন সেখানে। কিন্তু কঠিন পাথর গাঁইতি-কুঠারকে ঠেকাতে পারলেও, বাধ সাধতে পারেনি দুই ভাইয়ের উদ্যমে।
সূত্র: আমাদের সময়