চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের হালিশহর ১১ নং ওয়ার্ডের বিয়ের কাজী খলীলুর রহমানের উদ্ধত আচরণে ক্ষুদ্ধ হয়েছেন এলাকাবাসী, স্থানীয় প্রশাসন ও মুসল্লীরা।
এর প্রতিবাদে আজ (জুমাবার) জুমার নামাযের পর এক মানববন্ধন করেছে তারা। এতে স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিসহ উপস্থিত ছিলেন ১১ নং ওয়ার্ড কমিশনার জনাব মোর্শেদ আক্তার চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, দেশের পরিচিত মুখ ও এম ই এস ওমরগণী কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক বিভাগের অধ্যাপক, ড. মাওলানা আ ফ ম খালিদ হোসেন তিনি জুমা পড়ান হালিশহর এ ব্লক বাসস্টেন্ড সংলগ্ন হযরত উসমান গণী জামে মসজিদে।
গত ২৬ জানুয়ারি রোজ জুমাবার তাঁর এক ছেলের বিয়ে ও আকদ (ছেলেটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক) পড়াতে চাইলে স্থানীয় কাজী খলীলুর রহমান আ ফ ম খালিদের সাথে দুর্ব্যবহার করলে একপর্যায়ে কেঁদে ফেলেন বলে বর্ণনা দিয়েছেন স্থানীয় মুসল্লীরা।
একপর্যায়ে শুধু আকদ পড়াতে চাইলে আবারও একই আচরণ করে খলীল। এটাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এলাকাবাসী ও মুসল্লীদের মধ্যে। তারা খলীলকে একজন ইসলামিক স্কলারের সাথে অশালীন আচরণে ক্ষমা চাইতে বলায় সে আবারও বেয়াদবী করে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এর বিচারের দাবীতে মুসল্লীপরিষদ সাবেক মন্ত্রী জনাব ডা. আফসারুল আমিন চৌধুরীর শরণাপন্ন হলে তিনি বিচারের ভার স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার জনাব মোর্শেদ আক্তার চৌধুরীকে হস্থান্তর করেনন।
তিনি সুরাহার জন্যে উভয় পক্ষকে ডাকলে কাজী খলীলুর রহমান কমিশনার মোর্শেদ আক্তার ও মসজিদ কমিটির সদস্য শাহাদাত হোসাইনকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মানববন্ধে মোর্শেদ আক্তার চৌধুরী বলেন, আমরা এই কাজীকে প্রত্যাখ্যান করেছি এবং সুরাহা হওয়ার আগ পর্যন্ত তার সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখা এবং তাকে সামাজিকভাবে বয়কট করার আহ্বান জানাচ্ছি। এর বিচারের ক্ষেত্রে আইনি পর্যায়ে সবধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মনসুরুল হক জিহাদী, ওহিদুল আমিন, সরওয়ার কামাল ও মাওলানা আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
কাল জাতিকে নতুন বার্তা দেবে জমিয়ত