রকিব মুহাম্মাদ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মিশরের আসওয়ান প্রদেশর ছোট্ট ইসরা মুহাম্মাদ দীর্ঘ ৫ বছর চেষ্টার পর সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ করতে সক্ষম হয়েছে।
১০ বছর বয়সী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এই শিশু মিশরের আসওয়ান প্রদেশর দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য “আন-নুরু ওয়াল আমাল” স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী।
সে তার পরিবারের সাহায্যে জীবনের অনেক বাধাকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছে। দৃষ্টিশক্তির নেয়ামত থেকে বঞ্চিত হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘ ৫ বছর চেষ্টার পর সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ করতে পেরেছে।
সে তার খালার সাহায্যে কুরআন হেফজ করেছে। তার খালা সেদেশের একটি কুরআন হেফজ প্রশিক্ষণ সেন্টারের শিক্ষিকা।
কুরআন হেফজের ব্যাপারে জানতে চাইলে ইসরা বলে, কুরআন মুখস্থ করার জন্য আমি প্রতিদিন কুরআন তিলাওয়াত করতাম এবং এখন প্রতিদিন কুরআন না পড়লে আমার ভালো লাগে না।
ইসরা বলে, উদ্দেশ্য পূরণের জন্য আমি আমার সকল চেষ্টাকে কাজে লাগিয়েছি এবং সকল বাধা বিপত্তি এড়িয়ে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের কুরআন হেফজ সেন্টারে গিয়েছি।
কারণ, আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে ভবিষ্যতে আল-আজহারের বিজ্ঞ নারী হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা। আমার উদ্দেশ্য সফলের মাধ্যমে আমি কিরাতে জ্ঞান এবং কুরআনের উপর ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করবো।
ইসরা মুহাম্মাদ আরো বলে, আমি সৌদি আরবের বিখ্যাত কারী শেখ সায়াদ গামেদী'র কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত শুনতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও অনেক কারির তিলাওয়াত আমার ভালো লাগে। আমি তাদের কণ্ঠ শুনে বুঝতে পারি এটা কার তিলাওয়াত।
ইসরাকে পবিত্র কুরআন হেফজের প্রতি অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন তারা খালা সারা। তিনি ইসরার ব্যাপারে বলেন, এ পর্যন্ত ইসরা অনেক পুরস্কার পেয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাকে সম্মাননা প্রদর্শন করেছে।
তিনি আরো বলেন, কুরআনের হাফেজ হওয়ার কারণে সে অনেক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। সর্বশেষ গত রমজান মাসে রেডিওতে অনুষ্ঠিত এক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে সে। এই প্রতিযোগিতাটি মিশরের বেশ কয়েকজন ধর্মীয় আলেমদের তত্ত্বাবধায়নে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইকনা।