আওয়ার ইসলাম: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে ডিভিশন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের আদেশের পর ডিভিশন দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
খালেদা জিয়ার আইনজীবিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ রোববার আদালত খালেদা জিয়াকে প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
মহা-কারাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন আদালতের আদেশের পর খালেদা জিয়াকে ডিভিশন দেয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।
আজ বিকেলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আদালতের আদেশ কারাগারে পৌঁছার পর আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে ডিভিশন প্রদান করেছি’।
এদিকে আরটিভি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ডিভিশনের পাশাপাশি খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত পারিচারিকা ফাতিমার থাকার ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ডিভিশন চেয়ে রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। আবেদনে বলা হয় খালেদা জিয়া দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রধান, তাই তাকে ডিভিশন দেওয়ার নির্দেশনা চান তারা।
শুনানি শেষে খালেদা জিয়াকে ডিভিশন দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। আর রায়ের সত্যায়িত কপি পাওয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কোনো আদেশ দেননি বলেও জানান তারা।
আদালতের নির্দেশ খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়ার নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আজ বিকেলে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে খালেদা জিয়ার ডিভিশন সংক্রান্ত আদালতের আদেশ হস্তান্তর করে।
খালেদা জিয়ার মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ বলেন, ‘আইনে আছে, জেলকোডের ৬১৭ ধারায় যে সামাজিক মর্যাদা এবং প্রেসিডেন্স ওয়ারেন্ট (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স-রাষ্ট্রীয় মর্যাদার ক্রমবিন্যাস) অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির পরই প্রাইম মিনিস্টারের স্থান। তো বেগম খালেদা জিয়া এক্স-প্রাইম মিনিস্টার। জেল কোডের ৬১৭ অনুযায়ী তিনি ডিভিশন এমনিই পান। আদালত আজ ডিভিশন মঞ্জুর করেন।’
এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল বলেছেন, খালেদা জিয়াকে সব সুযোগ সুবিধা দিয়েই রাখা হয়েছে। আলাদা করে ডিভিশন চেয়ে আবেদনের প্রয়োজন পড়ে না।
কাজল বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে বক্তব্য বিভিন্নজন দিচ্ছেন যে ডিভিশন চাচ্ছেন। তিনি তো ডিভিশনের ঊর্ধ্বে জেল কর্তৃপক্ষের নজরে বা সম্মানের সাথে অবস্থান করছেন। এখানে আবার ডিভিশন চাওয়ার কোনো প্রয়োজন পড়ে না।
এসএস/