মুহাম্মাদ শোয়াইব
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২০১৭ সালে আরবি বিশ্বে এমন কিছু ফাতাওয়া প্রকাশিত হয়,যা ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। কারও কারও মতে সেসব ফাতওয়া অনেক ক্ষেত্রে ধর্মানুভূতিতে আঘাতের শামিল।
পতাকা উত্তোলন করা হারাম!
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এক বিতর্কিত ফাতওয়া প্রদান করেন আরব বিশ্বের খ্যাতিমান দাঈ সামেহ আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, কোনো মুসলমানের জন্য জায়েজ নয়, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা এবং সামরিক ভঙ্গিতে অভিবাদন করা। কেননা এ সিস্টেম রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে ছিল না। এতে বিজাতীয়দের সঙ্গে সাদৃশ্যতা হয়ে যায়। যা হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী নিষিদ্ধ।
সর্বপ্রথম এই ফাতাওয়ার বিরোধিতা করেছেন আরব বিশ্বেরই আরেকজন দাঈ ড. মুহাম্মাদ আল শিহাত আল জুনদী।
মৃত স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গম বৈধ!
২০১৭ সালে্ আরেকটি ফাতওয়া প্রচন্ড বিতর্কের জন্ম দেয়। ফাতাওয়াটি দিয়েছেন মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিকহের উস্তাদ ড. সবরী আর রউফ। তিনি বলেন, স্ত্রী মারা গেলেও দাফনের পূর্বে তার সঙ্গে স্ত্রীসূলভ আচরণ করা যাবে।
এই ফাতওয়া ব্যাপক বির্তক সৃষ্টি করেছিল। বিশেষত আজহারের শায়েখ ও আওকাফ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয় এবং তাকে ফাতওয়া প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়।
পশুর সঙ্গে সঙ্গম বৈধ!
আজহারেরই আরেকজন সহকারী শিক্ষক ফাতওয়া দিয়েছিলেন যে, ওলামায়ে কেরাম অনুমতি দিয়েছেন, পশুর সঙ্গে সঙ্গম করা যাবে। অবশ্য পরে তিনিও চাপের মুখে ফাতাওয়ার কথা অস্বীকার করতে বাধ্য হন।
রোজা ধনীদের জন্য!
আরেকটি ফাতাওয়া প্রদান করেছেন অস্ট্রেলিয়ার মুফতি ইত্তেহাদু উলামায়িল ইসলামের চেয়ারম্যান মুস্তফা রাশেদ। তিনি বলেনছিলেন রোজা শুধু ধনীদের ওপর ফরজ। যাদের মাসিক আয় ৫০০ ডলারের চেয়ে কম তাদের জন্য রোজা ফরজ নয়। তিনি তার ফাতওয়ার পক্ষে সুরায়ে বাকারার ১৮৪ নং আয়াত দ্বারা দলীল পেশ করেন। যেখানে বলা হয়েছে।
من كان منكم مريضا أو على سفر فعدة من أيام أُخر، وعلى الذين يطيقونه فدية طعام مسكين فمن تطوع خيرا فهو خير له
তবে তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ হবে, কিংবা সফরে থাকবে, তাহলে অন্যান্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আর যাদের জন্য তা কষ্টকর হবে, তাদের কর্তব্য ফিদয়া- একজন দরিদ্রকে খাবার প্রদান করা। অতএব যে স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত সৎকাজ করবে, তা তার জন্য কল্যাণকর হবে। আর সিয়াম পালন তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জান।
সূত্র: মাজাল্লাতু মীম