আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় কবি ও পীর-আউলিয়াদের নিয়ে কটাক্ষ করার অভিযোগ এনে নারায়ণগঞ্জের আল জামিয়া আস সালাফিয়্যাহ মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের বিরুদ্ধে এক হাজার কোটি টাকার মানহানি মামলা করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে আমলগ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জগন্নাথপুরের বিচারক সাইফুর রহমানের মজুমদারের আদালতে এই মামলা করেন জেলার জগন্নাথপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা আবুল হাসনাত বেলাল।
আবুল হাসনাত বেলাল মামলায় উল্লেখ করেন, ইন্টারনেটে ভিডিও শেয়ারিং’এর মাধ্যম ইউটিউবে প্রচারিত শায়েখ আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের ওয়াজ মাহফিলে খাজা মঈনউদ্দিন চিশতী, হজরত শাহ জালাল রহ. শাহ পরান রহ., গোলাপ শাহ, জাতীয় সঙ্গীত, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে কটাক্ষ করে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পীর-আউলিয়াদের কবর ভেঙে চৌচির করে দিতে বলেছেন।
এছাড়াও তিনি জাতীয় পতাকা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও নজরুল ইসলামকে নিয়ে অপমানজনক বক্তব্য দিয়েছেন, যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামি ইউটিউবের মাধ্যমে এই বক্তব্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি এ বক্তব্য দিয়ে ধর্মীয় অনুভূতি ও স্বাধীনতার চেতনার প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছেন।
মামলার নথিতে দাবি করা হয়, আসামির এই বক্তব্যে এক হাজার কোটি টাকার সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে দ-বিধির ৫০০ ধারায় অপরাধ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ প্রার্থনা করা হয়।
মামলার বাদিপক্ষের আইনজীবী হিসবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আমিরুল হক এনাম, জিয়াউর রহিম শাহিন, জুয়েল মিয়া ও রুবেল আহমদ।
এ বিষয়ে আমিরুল হক এনাম বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে শায়েখ আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। তার বিরুদ্ধে এগুলো অপপ্রচার। আমরা আশা করছি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার পাব।
শায়খ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের জন্ম চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার দেবীনগর উপজেলার মাওলা বক্স হাজীরটলা গ্রামে। ভারতের উত্তর প্রদেশের দারুল উলুম মউনাথভাঞ্জান থেকে দাওরায়ে হাদীস পাশ করেন। এছাড়াও দেশের মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড থেকে তিনি ফাজিল ও কামিল পাশ করেন।
আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধায় অবস্থিত আল মারাকাজুল ইসলামীতে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্ম জীবন শুরু করেন।
তারপর ১৯৯৮ সাল থেকে আল মারকাজুল ইসলামী আস সালাফী নওদাপাড়া রাজশাহীতে একজন মুহাদ্দিস হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি ওয়াজের মাহফিল করে থাকেন। তিনি পীস টিভিতেও একসময় নিয়মিত লেকচার দিয়েছেন।
বাংলাদেশের ৬ ভাই : যে বাগানে ফুটেছে জোড়া ফুল