শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

দুই দলের বিভক্তি নিরসনে হজরতজি ইলিয়াস রহ. এর গুরুত্বপূর্ণ নসিহত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: উম্মতের মাঝে দাওয়াত ও তাবলিগের নামে দীনি মেহনত দ্বারা ঐক্য ও সম্প্রীতি তৈরি করা তাবলিগি মুরুব্বিদের প্রেরণা ছিলো।

হজরত মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস রহ. বলেন, এই কর্মকাণ্ড দ্বারা আমরা প্রত্যেক স্থানে আলেম, দীনদার ও দুনিয়াদারদের মাঝে সম্পর্ক ও হৃদ্যতা তৈরি করতে চাই।

এমনকি ওলাময়ে কেরাম ও দীনদারদের বিভিন্ন মহলে হৃদ্যতা ও মুহাব্বত এবং সহযোগিতা ও একাত্মতা তৈরি করা শুধুমাত্র আমাদের লক্ষ্য নয় বরং গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য। আর এই দীনি দাওয়াতই ইনশাআল্লাহ সেটির মাধ্যম ও সহায়ক হবে।

ব্যক্তিবর্গ ও গোষ্ঠীসমূহের মাঝে স্বার্থের ভিন্নতার কারণেই মতানৈক্যে ধীরে ধীরে বেড়ে চলে। আমাদের সব মুসলিম দলকে দীনের কাজে লাগাতে এবং দীনের খেদমতকে তাদের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য বানানোর জন্য এমন চেষ্টা করতে হবে যাতে তাদের আবেগ ও কর্ম পদ্ধতিতে সামাঞ্জস্য হয়ে যায়।

শুধু এই বিষয়টিই ঘৃণাকে পরিবর্তিত করতে পারে ভালোবাসায়।

একটু ভাবুন, দুই ব্যক্তির মাঝে আপোস করিয়ে দেয়ার কত বড় পূণ্য ও সওয়াব। আর উম্মতের বিভিন্ন দল ও শ্রেণির মাঝে আপোসের চেষ্টায় কত বড় সওয়াব, তা অনুমান করা কি সম্ভব? (মালফুজাতে ইলিয়াস রহ. পৃ.৮৪-৮৫)

উম্মত হওয়ার জন্য প্রয়োজন হলো, নিজেদের মধ্যে মিল মহব্বতের আপ্রাণ চেষ্টা করা, বিচ্ছিন্নতা নয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একটি হাদিসের বিষয়বস্তু হলো, কেয়ামতের ময়দানে একজন ব্যক্তিকে উপস্থিত করা হবে।

Image may contain: text

সে নামাজ, নামসাজ, রোজা, হজ্ব, তাবলিগ, ইত্যাদি সব কিছুই করতো। কিন্তু তাকে আজাব দেয়া হবে। কেননা, তার কোনো কথায় উম্মতের মাঝে মতানৈক্যের সৃষ্টি হয়েছিলো।

তাকে বলা হবে, প্রথমে তুমি ওই একটি শব্দের সাজা ভোগ করো যার কারণে উম্মতের ক্ষতি হয়েছিলো।

তারপর আরেকজনকে হাজির করা হবে। যার নামাজ, রোজা, হজ, তাবলিগ ইত্যাদির আমল হবে কম। তবে সে আল্লাহর আজাবের ভয় করতো। তাকে অনেক নেকি দিয়ে সম্মানিত করা হবে। সে জিজ্ঞেস করবে আমার এই মর্যাদা কিসের কারণে?

উত্তরে তাকে বলা হবে, তোমার ওমুক এক কথার দ্বারা উম্মতের মাঝে অনৈক্য ও ফেৎনা দূর হয়ে মিলন ও ঐক্য সৃষ্টি হয়েছিলো। এসবই তোমার সেই কথার প্রতিদান ও পুরস্কার। (হজরতজ্বি মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ রহ. আলোচনা গ্রন্থ: ১৫৪)

[সূত্র: দাওয়াতের মেহনত ও তাবলীগের মুরব্বিদের ভারসাম্যপূর্ণ আমল, হাফেজ মাওলানা শাহরিয়ার মাহমুদ]

দেশে ফিরেছেন তাবলিগের প্রতিনিধি দল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ