ইহুদিরা প্রস্তুতি নিচ্ছে অথচ আমরা ঘুমিয়ে আছি। তারা ঐকান্তিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে, আর আমরা তামাশা করছি। আমরা তাদের বিরুদ্ধে সাহস জাগিয়ে তুলছি। মনোবল যোগাচ্ছি। তবে সীমালঙ্ঘন ও বাড়াবাড়ি করে ফেলেছি।
তাই আহ্ববান ফলপ্রসূ হচ্ছে না। কেননা মানুষ ইহুদিদের অনেক বেশি শক্তিশালী ও ক্ষমতাধর ভাবতে শুরু করেছে। তাদের নিয়ে অনেক হিসাব নিকাশ কষছে। তাই আমাদের কর্তব্য এপথ থেকে সরে এসে তাদের প্রকৃত অবস্থা মানুষের সামনে উন্মোচিত করা। তাদের বাস্তব চিত্র তুলে ধরা।
বাস্তব ওটাই যা তোমরা প্রতিদিন দেখছো এবং শুনছো। তোমরা কি একথা শুনোনি? ইহুদিদের বিভিন্ন সেনাদল তাদের আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, সরঞ্জামাদি ও ভারি কামান নিয়ে পবিত্র ভূমির আরব গ্রামগুলোতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে।
তারপর সেখানকার বাসিন্দারা তাদের খুব অপমানজনকভাবে বিতাড়িত করছে, হত্যা করছে ও বন্দি করছে। এরা তো গ্রাম্য অশিক্ষিত কৃষক, তারা সমর বিদ্যা নিয়ে পড়াশুনা করেনি। যুদ্ধের কলাকৌশলও জানে না। তাহলে একটি সুসংগঠিত আরব সৈন্যদলের সাথে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হলে তাদের কী অবস্থা দাঁড়াবে!?
এটাই ইহুদিদের বাস্তবতা, এরা আজ অবধি ভীরু ও নিকৃষ্ট জাতি। আরবদের সাথে তারা যখনই লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছে, আরবরা তাদের বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করেছে। সেদিনও যদি আরব রাষ্ট্রগুলো ইংল্যান্ড-আমেরিকার প্রতারণায় প্রতারিত না হতো! যুদ্ধবিরতি বা সন্ধি না করতো! এই ইহুদি গোষ্টি সমুদ্রে নিক্ষিপ্ত হতো।
অতএব, তোমরা ইহুদিদের ভয় করো না। তোমরা মনে করো না অস্ত্রশস্ত্র তাদের স্বভাব পরিবর্তন করে ফেলেছে। পলায়নের সময় ভীরুর হাতের তরবারি তার পদস্খলন ঘটায়। আমি এসব যা বলছি তা শুধু মাত্র উৎসাহ বা কল্পনামূলক নয়। বরং এমন সত্য যা নিকট ও দূরঅতিতে ঘটেছে।
তোমরা ইহুদিদেরকে ভয় করো না। আমেরিকা তাদের যে সম্পদ আর অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে, তাতে তোমরা ঘাবড়ে যেও না। কেননা তারা এসব নিয়ে একটি আরব রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও দাঁড়াতে সক্ষম নয়। তবে তাদের তুচ্ছজ্ঞান করো না।
তাদের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি না নিয়ে বসে থেকো না। তোমাদের বীরত্ব তাদের ভীরুতা, তোমার মর্যাদা তাদের হীনতায় নিশ্চিন্ত হয়ে থেকো না। কেননা কোন লোক যদি তার শত্রুকে তুচ্ছজ্ঞান করে, তার বিরুদ্ধে প্রস্তুতি না নিয়ে থাকে, তবে শত্রু তার বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করবে।
আর যদি শত্রুকে বেশি ভয় করে, তার ভয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ে, তাহলে সে শত্রুর সাথে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে পারবে না।
সূত্র : মাকালাত ফি কালিমাত
অনুবাদ : মঈন উদ্দিন এবাদুল্লাহ
মারকায যায়েদ বিন ছাবিত রা.