রকিব মুহাম্মদ:
মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশে’র আমির আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেছেন, রাসুল সা. এর সুন্নাতের অনুসরণ করা ব্যতীত পৃথীবির বুকে শান্তি আসবে না। আজ বিশ্বব্যাপী শান্তির জন্য রাসুল সা. প্রদর্শিত পথে আমাদের জীবনকে পরিচালিত করতে হবে।
গতকাল শনিবার ঢাকার যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় দাওয়াতুল হকের বার্ষিক ইজতেমায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আমিরে দাওয়াতুল হক বলেন, দাওয়াতুল হকের কার্যক্রমকে বাংলার জমিনে ছড়িয়ে দিতে হবে। ঘরে ঘরে সুন্নাতের বাতি জ্বালিয়ে দিতে হবে। অমুসলিমদেরকেও দীনের প্রতি আহবান করতে হবে, এটাও দাওয়াতুল হকের কাজের অংশ।
এ সময় তিনি রোহিঙ্গা সংকট ও তাবলীগ জামাতের চলমান সংকট নিয়ে সরকারের তৎপরতার প্রশংসা করে বলেন, আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাবলীগ জামাতের মধ্যে চলমান সংকট নিরসনে সুচিন্তিত পদক্ষেপ গ্রহণ করায় আমি তার শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
সাথেসাথে সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন এজন্য আমরা সরকারকেও ধন্যবাদ দিচ্ছিঅ।
তিনি সরকার প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য সরকারকে আরো জোরদার ভূমিকা পালন করতে হবে এবং কুটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে।
প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আমাদের যুবসমাজ ধ্বংস হচ্ছে। মোবাইল ফোন ইন্টারনেট টেলিভিশন ফেসবুক দিনদিন যুবসমাজের আমল আখলাখের অবনতি ঘটাচ্ছে। সুতরাং, আমাদের সাবধান হতে হবে এবং গোনাহ থেকে বাঁচতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মজলিসে দাওয়াতুল হকের কর্মসূচীর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, সুন্নাত তরিকায় জীবন পরিচালিত করে আল্লাহ ও রাসুল সা. কে খুশি করার অন্যতম মাধ্যম দাওয়াতুল হক। আমি দাওয়াতুল হকের ইজতেমায় এসে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। আগামীতেও আসার চেষ্টা করব।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছরের মতো দাওয়াতুল হকের বার্ষিক কর্মসূচী 'দাওয়াতুল হকের ইজতেমা' যাত্রাবাড়ীর জামিয়া ইসলামিয়া মাদানিয়া মাদ্রাসায় ফজর নামাজের পর থেকে শুরু হয়।
সকাল থেকে শুরু হওয়া ১ দিনের এই ইজতেমায় দেশবরেণ্য উলামায়েকরাম আলোচনা করেন।
ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের শায়খে সানী আল্লামা কমরুদ্দীন আহমদ গৌরখপুরী, মুফকি রাশেদ আজমী, মক্কা থেকে আগত শায়থ নাসের বিল্লাহ আল মক্কী, বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এর মহাসচিব আল্লামা মাহফুজুল হক, কাকরাইলের তাবলীগের মুরুব্বি মাওলানা ওমর ফারুক, আল্লামা আশরাফ আলী, আল্লামা আব্দুল মতিন, অধ্যাপক মিজানুর রহমান, মাওলানা মুশতাকুন্নাবী, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা মন্সুরুল হক, মাওলানা ফারুকসহ দেশ বিদেশের শীর্ষ স্থানীয় উলামায়ে কেরাম ইজতিমায় আলোচনা পেশ করেন।
সবশেষে উম্মতের কল্যান ও শান্তি কামনা করে দাওয়াতুল হকের আমির আল্লামা মাহমুদুল হাসানের মোনাজাতের মাধ্যমে ইজতেমা শেষ হয়।