তাওহীদ মাদানী
দেওবন্দ, ভারত
সম্প্রতি ভারতের কিছু টিভি চ্যানেল উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা সিদ্দীকা ও হজরত ফাতেমাতুজ জোহরা রা. কে নিয়ে করা হয়েছে ব্যঙ্গাতক প্রতিবেদন প্রচার করেছে৷
এতে ভারতীয় গণমাধ্যম ও মুসলিম সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। খবর প্রকাশের ভারতীয় মুসলিম সমাজের অভিভাবক প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ তার তীব্র নিন্দা ও যথাযথ আইনী পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে৷
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে দেওবন্দের মুহতামিম মুফতি আবুল কাসেম নোমানী এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান।
তিনি সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করে বলেন, বিষয়টি যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ার ভেতরে নিতে হবে। অপরাধীদের শাস্তির অধীনে আনতে হবে।
মুফতী আবুল কাসেম নোমানী বলেন, সম্প্রতি কিছু টিভি চ্যানেল বেশ কিছু দিন যাবৎ সাহাবায়ে কেরাম বিশেষভাবে হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রা. এবং ফাতেমাতুয যাহরা রা.কে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক প্রতিবেন করে যাচ্ছে৷ আমরা এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি৷ এটা নিঃসন্দেহে মুসলমানদের উপহাসের শামিল৷
তিনি আরো বলেন, আমি মুসলিমসহ অন্যান্য ধর্মীয় ভাইদেরকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই যে, আমরা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে অন্য ধর্মের কাউকে নিয়ে কটাক্ষ বা কটু কথা বলি না৷ তবে কেনো আমাদের ধর্মের উপর এই আঘাত? আমি মনে করি দল-মত নির্বিশেষে সকলেরই জানা উচিত যে, সাহাবয়ে কেরামদের প্রত্যেকেই আমাদের ধর্মের বুনিয়াদ৷ তাদের শানে বেয়াদবির পরিণাম খুবই ভয়াবহ৷ তাদের নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক উপদ্রব জাহান্নামের হেতু বৈ কিছু নয়৷
মুফতি নোমানী বলেন, আমরা মুসলমান৷ রক্তে মাংসে এখনো মুসলমানই আছি৷ আমাদের পূর্বসরীদের রক্তের চিহ্ন এখনো বাকি আছে আমাদের মাঝে৷ আমরা সাহাবায়ে কেরামদের এই অপমান সহ্য করব না ৷ সামান্য থেকে সামান্য পরিমাণ ঈমানওয়ালাও এটা সহ্য করবে না৷ সাহাবায়ে কেরামের সম্মানের প্রতি লক্ষ্য রাখা আমাদের ঈমানের অংশ৷ তাই আমরা সম্মিলিত মুসলিমদের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা জানাই।