আবরার আবদুল্লাহ
বিশেষ প্রতিবেদক
সন্ত্রাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বিশ্ব বরেণ্য ১১ আলেম ও নেতা ও দুটি ইসলামি সংস্থাকে কালো তালিকাভূক্ত করেছে উপসাগরীয় সৌদি জোট।
কাতারের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ ৪ দেশ সৌদি আরব, মিসর, আরব আমিরাত ও বাহরাইন এ তালিকা অনুমোদন করেছে।
মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক মধ্যমাধ্যমগুলোতে আজ এ সংবাদ ও তালিকা প্রকাশিত হয়েছে।
সন্ত্রাসী তালিকাভূক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন, মিসরের ইখওয়ানুল মুসলিমিন নেতা ইজ্জদ ইবরাহিম, সৌদি আরবের সালমান আল আউদা (সৌদি আরবে বন্দি), তিউনিসিয়ার আন্নাহাদা পার্টি প্রধান রশিদ ঘানুচি, মরক্কোর বিখ্যাত ইসলামিক স্কলার আহমদ রাইসুনি প্রমুখ।
সংস্থা দুটি হলো, দ্য ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক কাউন্সিল (মাশআ) এবং ওয়ার্ল্ড ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলারস।
২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলারস মুসলিম ব্রাদারহুটের আদর্শ ও চিন্তায় বিশ্বাসী। কাতার ভিত্তিক এ সংস্থার প্রধান চিন্তক আল্লামা ইউসুফ আল কারজাভি। এ সংস্থার সদস্য হওয়ার অপরাধেই গত জুনে সালমান আল আওদাকে গ্রেফতার করা হয়।
সন্ত্রাসী তালিকাভূক্ত করার ব্যাপারে দেশগুলোর বক্তব্য হলো, সংস্থা দুটো সন্ত্রাসী মতাদর্শ ছড়িয়ে দিচ্ছে। সন্ত্রাসীরা সংস্থার ব্যানারকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।
একইভাবে অভিযু্ক্ত ব্যক্তিরা উগ্র মতাদর্শ প্রচার করে বিভিন্নি দেশে অস্থিরতা তৈরি করছেন।
তারা এসব ব্যক্তিবর্গ ও সংস্থা দুটিকে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতির জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে।
কালো তালিকাভূক্ত অন্যান্য ব্যক্তিরা হলেন, খালেদ নাজিম দিয়াব, সালেম জাবির ওমর আলি সুলতান ফাতহুল্লাহ, মুয়াসার আলি মুসা আবদুল্লাহ জুবাইরি, মুহাম্মদ আলি সাঈদ আতম, হাসান আলি মুহাম্মদ জুমা সুলতান, মুহাম্মদ সুলায়মান হায়দার মোহাম্মদ আল হায়দার, মুহাম্মদ জামাল আহমদ হিসমত আবদুল হামিদ, ইয়াহয়া আল সাঈদ ইবরাহিম মুহাম্মদ মুসা ও আলি মুহাম্মদ আস সামাহি।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অধিকাংশ ২০১১ সালের আরব বসন্তের সঙ্গে যুক্ত ছিলো। যা প্রধানত মধ্যপ্রাচ্যের স্বৈর শাসক ও রাজপরিবারের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছিলো।
সূত্র : আরব নিউজ ও মিডল ইস্ট মনিটর