অাওয়ার ইসলাম: আজ মঙ্গলবার সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৭ উপলক্ষে আয়োজিত বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকার এবং খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের একটি মানুষও দরিদ্র থাকবে না। বাংলাদেশ কখনও পিছিয়ে যেতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতি হিসেবে আজ আমরা বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হতে পেরেছি। যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার শক্তি আমরা অর্জন করেছি। এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকতে হবে।
তিনি বলেন, দরিদ্রের হার ২২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। যা আগে ছিল প্রায় ৪৭ শতাংশে।
আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত যেভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে, তাতে প্রতিটি বাহিনী, প্রতিটি প্রতিষ্ঠান উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য শিক্ষা ভাতা, কন্যা সন্তানের ক্ষেত্রে বিবাহ ভাতা, উৎসব ভাতা, দেশ-বিদেশে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা সরকার দিচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে গেরিলা যুদ্ধ হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে অনেকেই ছিলেন গেরিলাদের আশ্রয় দিয়েছেন, খাদ্য দিয়েছেন, অস্ত্র রেখেছেন, অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছেন, সংবাদ পরিবেশন করে সহযোগিতা করেছেন। আমাদের যুদ্ধটা ছিল জনযুদ্ধ।
সীমিত সামর্থ্যের মধ্যেও সরকার মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারগুলোর মর্যাদা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে বলেও জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
এ সময় সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের আগামী জানুয়ারি থেকে বিশেষ ভাতা দেয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাচিত সদস্যদের পদক দেন তিনি।
এর মধ্যে সেনাবাহিনীর ১০ জন, নৌবাহিনীর একজন এবং বিমানবাহিনীর একজন সদস্যকে ২০১৬-১৭ সালের শান্তিকালীন পদক এবং সেনাবাহিনীর ১০ জন, নৌবাহিনীর দুজন এবং বিমানবাহিনীর দুজন সদস্যকে ২০১৬-১৭ সালের অসামান্য সেবা পদকে ভূষিত করা হয়।