শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
পাকিস্তানের সব সমস্যার পেছনে ইহুদি ষড়যন্ত্র থাকে: মাওলানা ফজলুর রহমান বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিল নাহিদ মানবতার জন্য আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে: শায়খ আহমাদুল্লাহ ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার: বিএনপি মাদরাসাছাত্রদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কাজ করছে এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র ল’ড়াই ফরজ: মুফতি তাকি উসমানি ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান শায়খে চরমোনাই’র নড়াইলে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলায় আ. লীগের ৪৮ নেতাকর্মী কারাগারে বিনা খরচে আরও কর্মী নেবে জাপান, সমঝোতা স্মারক সই সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সেই বিতর্কিত ব্যক্তি আটক

বাবা হারা শিশু সুমাইয়াই এখন ছয় সদস্যের প্রধান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

টেকনাফ প্রতিনিধি: জন্মদাতা পিতাকে হারিয়ে দশ বছরের রোহিঙ্গা শিশু সুমাইয়া আক্তার এখন ৬ সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের প্রধান। যে বয়সে তার বাবা-মায়ের তত্বাবধানে থাকার কথা, সে বয়সেই সে নিজের মাসহ ভাই ও বোনদের দায়িত্ব কাধে নিয়ে ঘানি টানছে।

মিয়ানমার মংডুর বুচিডং থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে আসা সুমাইয়া তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বালুখালী শরনার্থী শিবিরে থাকেন।

বাবার অনুপস্থিতিতে দশ বছরের শিশু সুমাইয়া আক্তার এখন তার ছয় সদস্যের পরিবারের প্রধান দায়িত্বে থেকে জীবিকা নির্বাহের জন্য বিভিন্ন স্থানে ছুটে বেড়াচ্ছে।

পরিবারের অপর সদস্যরা হচ্ছে ভাই মোহাম্মদ ফারুক (৭), গিয়াস উদ্দিন (৬), ইয়াসিন (৫), নুর ইয়াসমিন (৩)।

বুচিডং এর বাড়ীতে মিয়ানমারের সেনা-পুলিশের গুলিতে আগে মারা যায় এই পাচঁ রোহিঙ্গা শিশুর বাবা বশির আহমদ (৩৩)। বাবা নিহত হওয়ার পর সুমাইয় আক্তারের মা হাসিনা আক্তার (২৫) পরিবারদের নিয়ে কয়েক সপ্তাহ আগে চলে আসেন বাংলাদেশে।

সুমাইয়া আক্তার জানায়, বুচিডং এর পাশের গ্রামে আমাদের বাড়ি ছিল। এখানে আসার আগে আমার বাবাকে মগরা কেটে হত্যা করেছে। এখন মা, ভাই-বোনদের নিয়ে বালুখালী ক্যাম্পে থাকি। মা, ভাই বোনদের দেখা শুনা আমাকেই করতে হয়। পরিবারের সব খরচ আমাকে জোগাড় করতে হয়।

আমরা ক্যাম্পে যে পরিমান খাদ্য সামগ্রী পাই, তা দিয়ে আমাদের সংসার চলে না। তাই আমি ক্যাম্প থেকে বিভিন্ন জিনিস পত্র নিয়ে গ্রামে গ্রামে গিয়ে বিক্রি করি।

টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং এলাকায় ১৭ নভেম্বর দুপুরে এই রোহিঙ্গা শিশু সুমাইয়া আক্তারের সাথে আলাপকালে এসব তথ্য জানা যায়।

সরকার এখন পর্যন্ত এতিম ও অভিভাবকহীন রোহিঙ্গা শিশুকে সনাক্ত করেছে। এসব শিশুদের কারো হয়তো বাবা নেই, কারো মা নেই এমনি কি বাবা- মা দুইজনই নেই। আবার অনেক শিশু আছে যাদের বাবা- মা থাকলেও সীমান্তের ওপারে কিংবা এপারে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা জানান, এসব শিশুদের বিশেষ কর্মসূচির আওতায় এনে তাদের অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ