আওয়ার ইসলাম: সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলার ব্যাপারে একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত দলের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার রাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ওই প্রস্তাবের খসড়া উত্থাপন করা হয়েছিল।
জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন জয়েন্ট ইনভেস্টিগেশন ম্যাকানিজম বা 'জেআইএম’র মেয়াদ বাড়ানোর লক্ষ্যে নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবের পক্ষে ওই পরিষদের ১১ দেশ ভোট দিলেও রাশিয়া এবং বলিভিয়া এর বিপক্ষে ভোট দেয়।
নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটির আগে জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ভিসালি নেবেনজিয়া বলেন, এক সময় তার দেশ এই তদন্ত কমিটি গঠনে সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তদন্ত করতে গিয়ে এটির কার্যপ্রণালীতে ‘পদ্ধতিগত ত্রুটি’ ধরা পড়ে। এ কারণে এটির মেয়াদ বাড়ানোর প্রতি আর সমর্থন জানাবে না মস্কো।
নেবেনজিয়া আরো বলেন, “ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বলেছেন, সিরিয়ার রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় রাশিয়ার কোনো স্থান নেই। তার বক্তব্যে তদন্ত কমিটি গঠনের নোংরা ষড়যন্ত্র ধরা পড়েছে। সিরিয়ার রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় রাশিয়ার অংশগ্রহণকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে এই প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে।”
এর আগে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ একাধিকবার বলেছেন, সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলায় দেশটির সরকারকে জড়িত করার যেকোনো প্রচেষ্টার কঠোর বিরোধিতা করবে মস্কো।
সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশের খান শেইখুন শহরে গত ৪ এপ্রিল চালানো রাসায়নিক হামলায় কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়। হামলার পরপরই কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই আমেরিকা ও তার মিত্র দেশগুলো দাবি করে, সিরিয়া সরকারই ওই হামলা চালিয়েছে।
এমন সময় দামেস্কের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ আনা হয় যখন আমেরিকা ও রাশিয়ার উদ্যোগে ২০১৩ সালে সিরিয়া সরকারের হাতে থাকা সব রাসায়নিক অস্ত্র দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। জাতিসংঘের রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা ওপিসিডাব্লিউ এই প্রক্রিয়া তদারকি করে।এ ছাড়া, সিরিয়া সরকার ওই হামলায় নিজের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
সূত্র: পার্সটুডে