আওয়ার ইসলাম: টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে শুরু হয়েছে জোড়। ৫ দিনের এ জোড় শেষ হবে মঙ্গলবার। তাবলীগ জামাতের সর্ব বৃহৎ দাওয়াতি সম্মেলন বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি হিসেবে জোড় অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
১৭ নভেম্বর শুক্রবার কাকরাইল মারকাজের মুরব্বি ও শূরার সদস্য মাওলানা রবিউল হকের বয়ানের মধ্য দিয়ে বাদ ফজর থেকে টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হয়েছে জোড় ইজতেমা।
জোড়ে ৬৪ জেলার ৩ লক্ষাধিক মুসল্লির অংশগ্রহণে কথা রয়েছে। ৫ দিন ঈমান আমল ও দাওয়াতের গুরুত্ব বিষয়ে বয়ান করবেন তাবলীগের দেশি বিদেশি মুরব্বিগণ।
এদিকে আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে টঙ্গীতে দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হবে। ১৯ জানুয়ারি থেকে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শুরু হবে। এক্ষেত্রে ১৪ জানুয়ারি প্রথম পর্বের এবং ২১ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
ইজতেমা উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহম্মদ হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে সভায় গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ মো. মঞ্জুরুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফারজানা মান্নান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মাহমুদ হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির মুরুব্বি মাওলানা গিয়াস উদ্দিন আহমেদ জানান, টঙ্গীর তুরাগ তীর সামিয়ানা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। জোড় ইজতেমায় ঢাকা জেলার তাবলিগ জামাতের মুসল্লিসহ দেশি-বিদেশি ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করবেন। ইজতেমায় কালেমা, নামাজ, ইমান-আমলসহ ৬ উসুল সম্পর্কে দেশি-বিদেশি শীর্ষ মুরব্বীরা বয়ান করবেন।
এছাড়া মুসল্লিদের উদ্দেশে ইজতেমার গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরা হবে। পরবর্তীতে তারা পুনরায় ইসলামের দাওয়াতের কাজে বের হবেন এবং আগামী বছর বিশ্ব ইজতেমার মূল পর্বে শরীক হবেন।
টঙ্গী থানার ওসি মো. ফিরোজ তালুকদার বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে ৪ শত পুলিশ সদস্য ইজতেমা ময়দান ও এর আশপাশের এলাকায় মোতায়েন এবং পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।