আওয়ার ইসলাম: আজ দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, বিএনপি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না।
বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, হতে পারে না। যারা সামান্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনেই ভোট চুরি করে জিততে চায় তাদের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের মতো বৃহৎ দায়িত্ব কোনওভাবেই নিরপেক্ষ হতে পারে না। নির্বাচনে ইভিএম বাতিল ও সেনা মোতায়েন করতে হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, এরা ক্ষমতায় থেকে জনগণকে যেমন ভয় পাচ্ছে, তেমনি বিভিন্ন দল বিশেষ করে বিএনপিকে ভয় পায়। যার কারণে আজকের সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের বিভিন্ন জায়গায় বাধা দিয়েছে।
তিনি বলেন, আাওয়ামীলীগ যে এত ছোট মনের, আজকে তারা দ্বিতীয় দিনের মতো প্রমাণ করে দিয়েছে। এত ছোট মন নিয়ে রাজনীতি করা যায় না। এরা মানুষকে ভয় পায়। এজন্য ৭ নভেম্বর আমাদের জনসভা করতে দেয়নি।
আজকে অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু জনগণ যেন আসতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করেছে। গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। বাইরের জেলার মানুষ যেন না আসতে পারে। রাজধানীর হোটেলগুলোতে অভিযান চালিয়েছে। অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
খালেদা জিয়া বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রে মতপার্থক্য থাকবেই, দেশের কল্যাণে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
এদিকে ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দীমুখী নেতাকর্মীদের ঢল শুরু হয়। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে তারা অবস্থান নেন।
বিকাল সোয়া ৩টার দিকে সমাবেশস্থলে আসেন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ ১৯ মাস পরে রাজধানীর কোনো সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
দুপুর ২টার দিকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। ওলামা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবদুল মালেক কোরআন তেলাওয়াত করেন।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আজকের সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সভাপতিত্ব করছেন। এতে আরও উপস্থিত আছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।