নিহার মামদুহ
প্রতিবেদক
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম বিক্রি বা নিবন্ধনের নিয়ম করার পর তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলো অনেকেই। আদালতে রিটও করা হয়েছিলো। কিন্তু আদালত তা খারিজ করে দেন।
এখন বাংলাদেশে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা সিআইডি স্বীকার করেছে একটি অপরাধী চক্র নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য চুরি করে সেগুলোর মাধ্যমে মোবাইল ফোন সিম বিক্রি করছে।
এসব সিম নানা ধরনের অপরাধমূলক তৎপরতায় ব্যবহার করা হচ্ছে বলে সিআইডির কর্মকর্তাদের মত।
সিআইডির ভাষ্য মতে, ঢাকা এবং রংপুরে অভিযান চালিয়ে তারা এমন ১২০০ সিম জব্দ করেছেন। রাষ্ট্রীয় মোবাইল টেলিফোন কোম্পানি টেলিটকের এসব সিম বিভিন্ন ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ব্যবহার করে ক্রয়-বিক্রয় করা হয়েছে।
গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার রাজীব ফরহান।
সিআইডি মনে করে, অপরাধচক্রের সঙ্গে মোবাইল কোম্পানিতে কর্মরত লোকজনও জড়িত।
সিআইডির কর্মকর্তা রাজীব ফরহান স্বীকার করেন, এ ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয় মোবাইল ফোন গ্রাহকদের তথ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা খুবই দুর্বল।
বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বা বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ মনে করেন এক্ষেত্রে মোবাইল অপারেটরদের চেয়ে খুচরা পর্যায়ের বিক্রেতারা বেশি দায়ী।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমরা একজন ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ১৫টা সিম অ্যালাউ করি, সেজন্য কোন একটা লোক যখন সিম নিতে যায় তখন সে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে একটা সিম নিয়ে চলে গেল। তখন বাকি ১৪টা সিম ওর নামে নিয়ে রিটেইলার রেখে দেয়। রেখে দিয়ে তখন আরেকজনের কাছে বিক্রি করে।’
বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, অনেক খুচরা বিক্রেতা ইচ্ছাকৃতভাবে ক্রেতাদের একাধিক ফিঙ্গার প্রিন্ট বা আঙুলের ছাপ নেয়। এর মাধ্যমে অনেকে খুচরা বিক্রেতা জালিয়াতির আশ্রয় নেয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সূত্র : বিবিসি