আওয়ার ইসলাম: ক’দিন পরপরই বিমানববন্দরে ধরা পড়ছে স্বর্ণ পাচারকারীরা। কিন্তু কিছুতেই এসব পাচার রোধ করা যাচ্ছিল না। সম্প্রতি সোনা পাচারকারী একটি চক্রকে ধরার পর বেরিয়ে এল পাচারের আজব তথ্য।
আটককৃত পাচারকারীরা জানিয়েছে, বিমানের ভেতর সোনা পৌঁছানো হয় এয়ার হোস্টেসদের মাধ্যমে। তারা সুবিধামতো কোনো একটি আসনের নিচে তা রেখে দেন। এরপর ওই আসনের নম্বর জানান অন্যদের।
তারা জানায়, বিমান থেকে সবাই নেমে যাওয়ার পর ময়লার সঙ্গে সোনাগুলো বাইরে নিয়ে আসে কর্মচারীরা। এরপর চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত বিমানবন্দরের অন্যদের সহায়তায় সোনা নিয়ে আসা হয় টার্মিনালের বাইরে। সেখানে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষমাণ চক্রের অন্য সদস্যদের হাতে তুলে দেয়া হয় সেগুলো।
এভাবেই পরবর্তীতে নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছে দেয় চোরাচালানের মাধ্যমে আসা সোনাগুলো।
কাস্টমস গোয়েন্দা, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, গোয়েন্দা পুলিশসহ সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে এভাবেই বছরের পর বছর সোনা চোরাচালান হয়ে আসছে।
বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবি উত্তরের উপ-পুলিশ কমিশনার শেখ নাজমুল আলম জানান, মঙ্গলবার রাতে বিমানবন্দরের সামনে কাওলাগামী রাস্তার ওপর থেকে একটি প্রাইভেটকারসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- ফারুক আহম্মেদ, মীর হোসেন ও শাহীন।
এ সময় উদ্ধার কার হয় চার কোটি টাকা মূল্যের ৮০ পিস সোনার বার। তারা দীর্ঘদিন ধরে সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকলেও এর আগে ধরা পড়েনি।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মীর হোসেন রিজেন্ট এয়ারলাইনসের ক্যাটারিং বিভাগের কর্মচারী। ফারুক নিজেই চোরাচালানে আসা সোনার কিছু অংশের মালিক।
গ্রেফতারকৃতরা মোবাইলে কারও সঙ্গে যোগাযোগ না করে ‘উইচ্যাট’ অ্যাপসের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ডিবি জানায়, জব্দকৃত সোনার চালান দুবাই থেকে আসা রিজেন্সি এয়ারলাইনসের মাধ্যমে আনা হয়েছে।
আসছে রবিউল আউয়াল, আসছে নতুন কিছু