সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


ইসির সংলাপে ১১ প্রস্তাব আওয়ামী লীগের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মাদ: আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে ইভিএম পদ্ধতি সহ  ১১টি প্রস্তাব দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

বুধবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। আওয়ামী লীগের ২১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ সংলাপ শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের  এ তথ্য জানান।

সংলাপে দেয়া আওয়ামী লীগের ১১ প্রস্তাব

১। আরপিও-১৯৭২ ও দ্য ডিলিমিটেশন অব কনস্টিটিউশনস অর্ডিনেন্স-১৯৭৬ এর বাংলা প্রশংসনীয়। আওয়ামী লীগের সমর্থন থাকবে। আরপিও ৯৪/এ অনুসরণযোগ্য।

২। নির্বাচনে অবৈধ অর্থ ও পেশিশক্তির ব্যবহার রোধকল্পে সংবিধানে বর্ণিত নির্বাচন সংক্রান্ত নির্দেশনা ও বিদ্যমান নির্বাচনী আইন ও বিধিমালা নিরপেক্ষ ও কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।

৩। প্রজাতন্ত্রের কর্মে ও নির্বাচনী দায়িত্বে ব্যক্তি সংস্থার অপেশাদার ও দায়িত্বহীন আচরণে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা।

৪। বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের পরিবর্তে প্রজাতন্ত্রের দায়িত্বশীল কর্মচারীদের যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার পদে নিয়োগ করা।

৫। নির্বাচনে অংশগ্রহণে আগ্রহী প্রার্থীদের বাছাই করে সংশ্নিষ্ট রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীদের একটি চূড়ান্ত প্যানেল প্রণয়ন করা। প্রয়োজনে আরপিও এর প্রয়োজনীয় সংশোধন করা।

৬। দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও সতর্কতা নিয়োগ। বিশেষ দল বা ব্যক্তির প্রতি আনুগত্যশীল ব্যক্তি বা সংস্থাকে দায়িত্ব না দেয়া।

৭। সাংবাদিকদের নির্বাচনী বিধিমালার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে দায়িত্ব পালনে নির্দেশনা। গণমাধ্যম কর্মীদের উপযুক্ত পরিচয়পত্র প্রদান ও দায়িত্বকর্ম এলাকা নির্ধারণ।

৮। প্রার্থীদের নিয়োজিত পোলিং এজেন্টদের তালিকা ছবিসহ নির্বাচনের ৩ দিনের আগে রিটার্নিং অফিসারের কাছে প্রদান। প্রিসাইডিং অফিসার কর্তৃক নিশ্চিত করে কেন্দ্রে প্রবেশ ও ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্র অবস্থান নিশ্চিত করা।

৯। সুষ্ঠু নির্বাচনে বর্তমান বিধিবিধানের পাশাপাশি আধুনিক রাষ্ট্রসমূহের মতো ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করা।

১০। পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনির হাতে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব দেয়া। প্রতিরক্ষা বাহিনিকে আইনশৃঙ্খলা কাজে অন্তর্ভুক্ত করতে কোন কোন রাজনৈতিক দলের প্রস্তাব দেয়া আইন ও সাংবিধানিক নিয়মে সাংঘর্ষিক। আইনশৃংখলার ক্ষেত্রে কোন পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষা বাহিনিকে নিয়োগ করা যাবে তা ফৌজদারি কার্যবিধি ও সেনা বিধিমালায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। প্রতিরক্ষা বাহিনিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনির দায়িত্ব দিলে তাদের মর্যাদা বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

১১। নতুন আদমশুমারি ব্যতিত নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য সীমানা পুনর্নির্ধারণে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই সীমানা পুনর্নির্ধারণ না করা।

উল্লেখ্য,  ইতিপূর্বে ইসির সাথে সংলাপে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গত রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সংলাপে যোগ দেয়। সেখানে ২০ দফা সুপারিশে মোট ৬৬টি প্রস্তাব তুলে ধরেন বিএনপি নেতারা।

প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, ভোটার তালিকা ত্রুটিমুক্ত করা, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নিরপেক্ষ প্রশাসন নিশ্চিতকরাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিএনপির সুপারিশের সঙ্গে  আওয়ামী লীগের মিল রয়েছে।

তবে নির্বাচনকালীন সরকার, সংসদীয় আসন সীমানা, সেনা মোতায়েন ও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন নিয়ে মূল চারটি বিষয়ে দুই দলের অবস্থান বিপরীতমুখীই থাকছে।

আরএম


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ