আওয়ার ইসলাম : দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের শীর্ষ ১০ পদে রদবদল করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত রদবদলের নথিতে অনুমোদন দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ওয়াহহাব মিয়া।
আজ রবিবার আইন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপণ জারি করেছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ অনুসারে আইন মন্ত্রণালয় তাঁদের অন্যত্র বদলি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলামকে ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান, হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার সৈয়দ দিলজার হোসেনকে ঢাকার বিশেষ জজ -৩ এর বিচারক, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (বিচার ও প্রশাসন) মো. সাব্বির ফয়েজকে লালমনিরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব মো. আনিসুর রহমানকে পঞ্চগড় জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার যাবিদ হোসাইনকে রংপুরের নারী-শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, আপিল বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অরূনাভ চক্রবর্তীকে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, হাইকোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ফারজানা ইয়াসমিনকে পিরোজপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, হাইকোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার কামাল হোসেন শিকদারকে চুয়াডাঙ্গার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, হাইকোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. আজিজুল হককে ঠাকুরগাঁওয়ের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ও প্রধান বিচারপতির বিশেষ কর্মকর্তা ইসমাঈল হোসেনকে বরগুনাতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে বদলির জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তবে, প্রধান বিচারপতি অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পূর্বে প্রশাসনে এই রদবদল নিয়ে খোলা চিঠিতে বলেছিলেন, প্রধান বিচারপতির প্রশাসনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কিংবা সরকারের হস্তক্ষেপ করার কোনো রেওয়াজ নেই। তিনি শুধুমাত্র দৈনন্দিন কাজ করবেন। এটিই হয়ে আসছে। প্রধান বিচারপতির প্রশাসনে হস্তক্ষেপ করলে এটি সহজেই অনুমেয় যে, সরকার উচ্চ আদালতে হস্তক্ষেপ করছে। এবং এর দ্বারা বিচার বিভাগ ও সরকারের মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি হবে।