শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
পাকিস্তানের সব সমস্যার পেছনে ইহুদি ষড়যন্ত্র থাকে: মাওলানা ফজলুর রহমান বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিল নাহিদ মানবতার জন্য আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে: শায়খ আহমাদুল্লাহ ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার: বিএনপি মাদরাসাছাত্রদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কাজ করছে এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র ল’ড়াই ফরজ: মুফতি তাকি উসমানি ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান শায়খে চরমোনাই’র নড়াইলে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলায় আ. লীগের ৪৮ নেতাকর্মী কারাগারে বিনা খরচে আরও কর্মী নেবে জাপান, সমঝোতা স্মারক সই সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সেই বিতর্কিত ব্যক্তি আটক

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার ত্রাণ দিয়েছে গওহরডাঙ্গা বোর্ড ও খাদেমুল ইসলাম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মিয়ানমার থেকে নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড গওহরডাঙ্গা, গোপালগঞ্জের নেতৃবৃন্দ।

বোর্ডের চেয়ারম্যান ও গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মহাপরিচালক পীরে কামেল আল্লামা মুফতি রুহুল আমীনের নির্দেশে খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের ত্রাণ কমিটির সদস্যরা ২৬ সেপ্টেম্বর বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ পৌঁছান।

সেখানে মিয়ানমার থেকে নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মাঝে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণ করেন।

মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি কুতুপালং, থ্যাংখালি, বালুখালি ও পলংখালি ক্যাম্পে ৫টি মসজিদ, ৩টি মক্তব, শতাধিক স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নির্মাণ করে।

নির্মিত মসজিদগুলোর নামকরণ করা হয়েছে মোজাহেদে আজম আল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরী সদর সাহেব (রহ.)-এর নামে। শিশু শিক্ষার প্রতিষ্ঠানের নাম দেয়া হয়েছে খাদেমুল ইসলাম মক্তব।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রীতে ছিল- সোলার বিদ্যুৎ প্যানেল, ক্যাম্পের জন্য তাঁবু, নগদ অর্থ, শুকনো খাবার, পানি ও বিধবাদের জন্য সেলাই মেশিন, বিশুদ্ধ পানির জন্য টিউবয়েল।

গওহরডাঙ্গা শিক্ষা বোর্ডের ত্রাণ কমিটির সদস্যরা টেকনাফের নাফ নদী পার হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বিল পারাপারের জন্য শাহপরীর দ্বীপ প্রান্তে এবং নয়াপাড়া প্রান্তে আলাদা চারটি’ বাঁশের সাঁকোও নির্মাণ করেন।

টানা সাত দিন টেকনাফে অবস্থান করে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের সরকার অনুমদিত বিভিন্ন ক্যাম্পে পৌঁছানোর জন্য ট্রাক, বিশেষ পিকাপ ভ্যান ও সিএনজির ব্যবস্থা এবং নতুন রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবায় সেবা দেওয়া হয়।

সব মিলিয়ে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কাজ পরিচালনা করেন, মুফতি ওসামা আমীন, মুফতি হুজায়ফা আমীন, মাওলানা সাখাওয়াত হুসাইন, মাওলানা শিহাবুদ্দীন, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা ঝিনাত আলী, মুফতি মোস্তাফা কাসেম, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মুফতি মুঈনুদ্দীন, মুফতি ইমরান হোসেন, মাওলানা ওয়াহিদুজ্জামান, মুফতি মুফিজুর রহমান, মাওলানা আবদুল কাদের, আবিদ শেখ, মাওলানা আবুল ফাতাহ, মাওলানা নুরুল আলম, মুফতি মনিরুল ইসলাম, মুফতি শহিদুল ইসলাম, মাওলানা হাদিউজ্জামান, মুফতি মাকসুদুল হক ও মুফতি মোহাম্মদ তাসনীম। বিজ্ঞপ্তি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ