নোবেল পুরস্কারের বিজয়ী বা সম্ভাব্য কোনো নাম আগে থেকে জানা যায় না। নোবেল কমিটি এসব গোপন রাখে সব সময়। তবে আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো শান্তিতে নোবেলজয়ীর সম্ভাব্য একটা তালিকা প্রকাশ করে। যারা শান্তিতে অবদান রেখেছেন এবং নোবেল পাওয়ার আলোচনায় এগিয়ে রয়েছেন।
এ বছর এরকম কয়েকজনের তালিকা দিয়েছে টােইম ম্যাগাজিন। আসুন জেনে নেই কারা নোবেল দৌড়ে এগিয়ে আছেন। উল্লেখ্য, আগামী ১০ অক্টোবর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হবে।
পোপ ফ্রান্সিস
পোপ ফ্রান্সিস ২০১৩ সালে ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মগুরু বা পোপ হওয়ার পর থেকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হচ্ছেন। শরণার্থী ও অভিবাসীদের জন্য সমবেদনা জানানোর আহ্বান এবং ঐতিহাসিকভাবে রক্ষণশীল ক্যাথলিক চার্চের উদারপন্থী কণ্ঠস্বর হিসেবে এ বছর শান্তিতে নোবেলের জন্য তাকে সবচেয়ে সম্ভাব্য বিজয়ী বিবেচনা করা হচ্ছে।
অ্যাঙ্গেলা মেরকেল
২০১৫ সালে ইউরোপের শরণার্থী সংকটের সময় জার্মানিতে ১০ লাখ মানুষকে আশ্রয় দেয়ার ঘোষণার পর থেকে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য অন্যতম দাবিদার মনে করা হচ্ছে। তবে শরণার্থীদের জন্য উদারতা দেখিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হলেও নিজ দেশে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন মেরকেল। গত মাসে জাতীয় নির্বাচনে তার দল বিজয়ী হলেও অভিবাসন নীতির কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে কমসংখ্যক আসন পেয়েছেন। অন্যদিকে অভিবাসনবিরোধী উগ্র জাতীয়তাবাদীরা পার্লামেন্টের তৃতীয় বৃহৎ দলে পরিণত হয়েছে।
সিরিয়ার 'হোয়াইট হেলমেটস'
গত বছল নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য উদ্ধারকর্মীদের দল সিরিয়ার ‘হোয়াইট হেলমেট’ তথা সিরিয়া সিভিল ডিফেন্স অর্গানাইজেশনের নাম বেশ আলোচিত ছিল। কিন্তু কয়েক দশকের গৃহযুদ্ধ অবসানের কৃতিত্বের স্বীকৃতি হিসেবে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়েল সান্তোস পুরস্কার পেয়ে যান। এবার হোয়াইট হেলমেটসের নাম পুরস্কারের জন্য বেশ আলোচিত হচ্ছে। ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হলে এ সংস্থাটি ৯৯ হাজার মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে।
ফেডেরিকা ও জাভেদ জারিফ
২০১৫ সালে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ঐতিহাসিক চুক্তিতে উপনীত হতে মধ্যস্থতা করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনি ও ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ। এই চুক্তির কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার বেশ কয়েক বছরের উত্তেজনা প্রশমিত হয়। এই কৃতিত্বের জন্য ফেডেরিকা ও জাভেদকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য অন্যতম ফেভারিট মনে করা হচ্ছে।
ইকোওয়াস
চলতি বছরের জানুয়ারিতে জাম্বিয়ায় শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরে ভূমিকা রাখে পশ্চিম আফ্রিকান জোট ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস)। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ২২ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা ইয়াহিয়া জাম্মেহ প্রথমে ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানান। কিন্তু ইকোওয়াসের ভূমিকার কারণে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নতুন প্রেসিডেন্ট আদামা ব্যারোর কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বাধ্য হন।