আওয়ার ইসলাম: অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিকেল পাঁচটার পর বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধ করেছে জেলা প্রশাসন।
তবে অনুমোদিত গণমাধ্যম কর্মী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত ব্যক্তিরা এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবেন।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে কেউ যেনো ব্যবহার করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সংযুক্ত করতে না পারে, সেজন্য এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
উখিয়ার কুতুপালং থেকে টেকনাফের মধ্যবর্তী ২০০০ একর জায়গায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প গড়ে উঠেছে। সেখানে বসবাসরত বিশাল এ জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা, ত্রাণ বিতরণে শৃঙ্খলা, দালালদের হাত থেকে রোহিঙ্গাদের রক্ষা এবং অসহায় রোহিঙ্গাদের কেউ যেনো কোনরকম নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করতে না পারে, সেজন্য এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা রহমান। মঙ্গলবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ আদেশ জারি করা হয়।
কেউ এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তার বিরুদ্ধেও যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সহায়তায় জেলা প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ, সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাজ করে চলেছে প্রতিনিয়ত। এরপরও প্রায়শই সেখানে বিভিন্ন ধরণের হয়রানির শিকার হচ্ছে রোহিঙ্গারা। তাদের এ হয়রানি বন্ধে ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই এ নির্দেশ জারি করেছে জেলা প্রশাসন।