মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন চলতে থাকলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) উত্থান হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ। শনিবার তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা নির্যাতনকে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে বিষয়টিকে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার করতে পারে জঙ্গিরা।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর বর্বর অভিযানের মুখে ৫ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়েছে এসেছে। একসঙ্গে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসায় মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জুলি বিশপ সতর্ক করেছেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর চলমান সহিংসতায় সীমান্ত সমস্যাও বাড়াতে পারে।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা খুবই উদ্বিগ্ন যে, নির্দিষ্টভাবে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের ঘটনাকে আইএস ও অন্যান্য সন্ত্রাসীগোষ্ঠী হাতিয়ার বানিয়ে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাজে লাগাতে পারে’।
জুলি বিশপ জোর দিয়ে বলেছেন, ‘আর এ কারণেই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান করতে হবে’। রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে পরিষ্কার অবস্থান না নেয়ায় নোবেলজয়ী অং সান সুচি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক নিন্দার মুখে রয়েছেন। একই কারণে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার ছবি সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো সরকারপ্রধান ও রাষ্ট্রীয় পরামর্শক সুচি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়া ইঙ্গিত দিলেও কবে, কখন, কীভাবে তা করবেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো দিক নির্দেশনা দেননি।