আওয়ার ইসলাম : গতকাল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতির ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রসংক্রান্ত বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম।
আজ এক প্রতিবাদলিপিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, গতকাল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেছেন, “বিশ্বকে অবশ্যই ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রগঠনের ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে....”। ইসলাম সর্বজনীন ও পূর্ণাঙ্গ ধর্ম বা জীবনব্যবস্থা। অন্য ধর্মের সাথে ইসলামকে গুলিয়ে ফেলা মোটেও সুবিবেচকের কাজ নয়। ইতিহাস সাক্ষী প্রায় ১৪০০ বছর পূর্বে সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মাদ সা. ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ আরবে ইসলাম ও মদিনা সনদের ভিত্তিতে যে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, তা সকল ধর্মের মানুষকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি দিতে সক্ষম হয়েছিল।
যা ইসলাম ছাড়া অন্যান্য ধর্মের মনীষীগণ পর্যন্ত ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থার এ অবদান স্বীকার করে নিয়েছেন। সে রাষ্ট্রের কোথাও অন্য ধর্মের মানুষের ধর্মকর্মে বাধা প্রদান বা তাদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে এমন কোন ঘটনা ঐতিহাসিকরা খুজে পান নি।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি মহোদয় যে ধর্মনিরপেক্ষতাকে সব ধর্মের মানুষের মুক্তির উপায় হিসেবে বর্ণনা করেছেন, তার কোন বাস্তবতা নেই। তার বক্তব্য রাসূল সা. প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রব্যবস্থা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণার অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। আমাদের পাশ্ববর্তী ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ভারতে হাজার হাজার ধর্মীয় দাঙ্গা হয়েছে, এখনও প্রতিনিয়ত সেখানে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত, নিষ্পেষিত ও উপেক্ষিত হয়ে আসছে।
তিনি দাবি করেন, দুনিয়া ও আখেরাতের সব সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান একমাত্র ইসলামই দিতে পারে, আর তা হতে পারে রাসূল সা. প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রব্যবস্থার মাধ্যমে, এ ব্যাপারে বিভ্রান্তির কোন অবকাশ নেই।
চরমোনাই পীর বলেন, সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রীও বলেছিলেন, মদিনা সনদের ভিত্তিতে দেশ চলবে। মাননীয় রাষ্ট্রপতির বক্তব্য সংবিধান এবং প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সম্পূর্ণ বিপরীত। রাষ্ট্রপতির মত একটি দায়িত্বশীল পদে থেকে এমন বক্তব্য জাতিকে হতাশ করেছে।
ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: রাষ্ট্রপতি