ঢাকার কদমতলী থেকে ১০ জামায়াত নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ তারা গোপন বৈঠকে নাশকতার ষড়যন্ত্র করছিল।
গতকাল শুক্রবার বিকালে গোপন বৈঠক করাকালে তাদের আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে নাশকতার জন্য জমাকৃত বিস্ফোরক (ককটেল), চাপাতি ও চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
কদমতলী থানা সূত্র জানায়, গতকাল বিকালে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে নাশকতার পরিকল্পনার সময় জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমিরসহ ১০ জনকে আটক করে। পুলিশ ওই বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ককটেল, ২টি বড় ছুরি ও ৩টি চাপাতি ও জিহাদী বই উদ্ধার করে।
তাদের বিরুদ্ধে নাশকতার চেষ্টা সংক্রান্ত মামলা দায়ের করা হবে।
এ ব্যাপারে কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ জলিল বলেন, কফিল উদ্দিন পেট্রোল পাম্পের পেছনে জালালাবাদ টিন ফ্যাক্টরির পাশে একটি সাততলা বাড়ির দোতলা ভাড়া নিয়ে তারা বেশ কিছুদিন ধরে অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। ওই বাসায় শুক্রবার তারা সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র করতে তারা বৈঠক করছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক পাওয়া গেছে।
তিনি আরো জানান, আটককৃতদের মধ্যে জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, সেক্রেটারি ডা. শরিফুল ইসলাম মাসুদ ও বোমা বিশেষজ্ঞ মোকাররম এবং ৭ কর্মী রয়েছে।
এ দিকে গতকাল শুক্রবার রাতে দলটির আমির মকবুল আহমাদ এক বিবৃতিতে এ জানান, শুক্রবার বিকালে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলসহ জামায়াতের নেতারা সাংগঠনিক বিষয় আলাপ-আলোচনা করার জন্য একত্রিত হলে পুলিশ তাদের অন্যায়ভাবে আটক করেছে।
বিবৃতিতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শাখার আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির মঞ্জুরুল ইসলাম ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য আবদুস সবুর ফকির গ্রেফতার হওয়ার কথা জানালেও অন্যদের নাম উল্লেখ করেনি জামায়াত। তবে বিবৃতিতে অবিলম্বে জামায়াত নেতাদের মুক্তি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান মকবুল আহমাদ।