মিয়ানমারের সহিংসতা নিয়ে আলোচনা করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছে।
এছাড়া নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা সংকট নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরিসের বক্তব্য শুনবেন।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মিয়ানমারে সামরিক দমনপীড়নের কারণে চার লাখ ৩০ হাজারের বেশী লোক পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করায় ব্রিটেন, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র এবং অপর চারটি দেশের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিষদ এ বৈঠকে করতে যাচ্ছে। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া এসব লোকের অধিকাংশ রোহিঙ্গা মুসলিম।
মিয়ানমার ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের জন্য মিশর, কাজাখস্তান, সেনেগাল ও সুইডেনও আবেদন জানায়। দেশগুলোর কোনটিই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয়।
জাতিসংঘ মিয়ানমারের এই সামরিক অভিযানকে ‘জাতিগত নিধন’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। এদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ গত সপ্তাহে আবারো এটিকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান সংখ্যালুঘু মুসলমানদের বিরুদ্ধে ‘বৌদ্ধ সন্ত্রাস’ চালানোয় মিয়ানমারকে দায়ী করে এ গণহত্যার কঠোর নিন্দা জানান।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন পুলিশ ফাঁড়ি ও সরকারি দপ্তরে কথিত রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলাকে কেন্দ্র করে দেশটিতে এ সামরিক অভিযান শুরু করা হয়।
এদিকে এ বিষয়ে উন্মুক্ত অধিবেশনে জাতিসংঘ মহাসচিবের আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের আগে মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের মিয়ানমারের হালনাগাদ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানো হবে।
এর আগে এ মাসের গোড়ার দিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সহিংসতা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়েছিল।