আবরার আবদুল্লাহ : ১৯৭০ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মুসলিম নিধন শুরু হয়। তখন প্রতিবেশী পাকিস্তানে আশ্রয় নেন বহু রোহিঙ্গা পরিবার। তাদের কেউ কেউ থেকে যান পূর্ব পাকিস্তান বা বর্তমান বাংলাদেশে আবার একদল চলে যান পশ্চিম পাকিস্তানে। পরবর্তী সময়েও অনেকে পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে পাকিস্তানে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বসবাস করে। কেমন আছে, পাকিস্তানে বসবাসকারী রোহিঙ্গা মুসলিমরা?
রোহিঙ্গা মুসলিমরা পাকিস্তানে দীর্ঘদিন বসবাস করলেও তাদের জীবনযাত্রার কোনো উন্নতি ঘটেনি। মূল সমাজের সাথেও তাদের মেশার সুযোগ দেয়া হয় না খুব একটা। তারা বাংলায় কথা বলার কারণে তাদেরকে বাঙালি মনে করা হয়।
পাকিস্তানে বসবাসরত এবং পাকিস্তানে জন্ম নেয়া রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয় নি পাকিস্তান সরকার। তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। ‘পাকিস্তানে রোহিঙ্গারা বাঙালি এবং শরণার্থী।’ ফলে তারা অনেক নাগরিক সুবিধা থেকেই বঞ্চিত। কোনো সরকারিতে আবেদনের সুযোগ নেই তাদের।
পাকিস্তানে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের উল্লেখযোগ্য অংশ পাকিস্তানের আরাকানাবাদ মানক স্থানে বসবাস করে। একজন মানুষের যেসব মৌলিক সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার, তা এখানে নেই৷ আরাকানাবাদে নেই কোনো হাসপাতাল৷ ভাঙাচোরা বাড়িতে থাকেন তাঁরা, ছোট ছোট বাড়িতে অনেক মানুষ একসাথে থাকতে হয়৷ একটা ছোট্ট অ্যাপার্টমেন্টে ২০ জন পর্যন্ত রোহিঙ্গাও বসবাস করেন।
বার্মিজ মুসলিম কল্যাণ সংস্থার সভাপতি নূর হুসাইন আরকানি জানালেন, আরাকানাবাদেই অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গার বাস৷ এদের বেশিরভাগই জেলে, কেউ কেউ পোশাক কারখানায় কাজ করে৷
সূত্র : ডয়েচে বেলে