মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ, পৌরপার্ক, গোপালগঞ্জ থেকে
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের রক্ষা এবং স্বাধীন আবাসভূমি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণের জোর দাবি জানিয়েছেন কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড (গওহরডাঙ্গা) বাংলাদেশের সভাপতি ও গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি রুহুল আমিন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সদস্যবৃন্দ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখছে। অথচ বাংলাদেশের পার্শ্ব রাষ্ট্র মিয়ানমারে মুসলমানদের ওপর ইতিহাসের বর্বরোচিত নির্মম হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ নির্মমতা চালাচ্ছে মিয়ানমার সরকার। যা বিশ্বের দ্বিতীয় মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হিসেবে বাংলাদেশসহ সকল মুসলিম রাষ্ট্র ও মানবতাবাদী সংস্থার জন্য লজ্জার। তাই বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিম রাষ্ট্রের প্রধানগণকে জাতিসংঘের অধিবেশনে মিয়ানমারে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠিয়ে মুসলমানের জন্য স্বাধীন আবাসভূমি প্রতিষ্ঠায় শক্ত অবস্থান নেয়ার আহ্বান করছি।’
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর (সোমবার) সকাল দশটায় কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড (গওহরডাঙ্গা)-এর উদ্যোগে আয়োজিত গোপালগঞ্জের পৌরপার্ক ময়দানে অনুষ্ঠিত বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মুফতি রুহুল আমিন আরও বলেন, ‘অং সান সুচিকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে। অথচ নাফ নদীর দুই তীরে হাজার হাজার লাশ দিনের পর দিন ভেসে ওঠছে। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে। অথচ তিনি নিরবে সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছেন। উল্টো শান্তির পদক ধারন করে একবিংশ শতাব্দের অন্যতম খুনিদের দোসরে পরিণত হয়েছেন। তাই তার এ নোবেল পুরস্কার এখন আর কোনো গুরুত্ব বহন করে না। অতএব তার এ নোবেল পুরস্কার বাতিল করতে হবে।’
সভায় অন্যান্যদের মাঝে আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় উলামায়ে কেরাম।
হাজারো মাদরাসা ছাত্র-শিক্ষকসহ সর্বস্তরের জনগণের উপস্থিতিতে সভায় বক্তাগণ দেশবাসীকে মিয়ানমারের সকল পণ্য পরিহারের আহ্বান জানান এবং সরকারকে মিয়ানমারের সঙ্গে সবধরনের বাণিজ্যিক চুক্তি স্থগিত করতে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন। এছাড়াও রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে আর্থিক সহযোগিতার প্রতি উৎসাহিত করেন বক্তাগণ।
শান্তিনগরে পুলিশের বাধায় মিছিল শেষ; দূতাবাসে যাচ্ছেন ১০ নেতা