বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

মক্কা থেকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ফুরফুরার পীর মিশকাত সিদ্দিকীর আহবান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ফুরফুরা দরবারের পক্ষ থেকে আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকমকে পাঠানো এক বিবৃতিতে, ফুরফুরার গদ্দিনশীন পীর শাইখ মিশকাত সিদ্দিকী বার্মার মজলুম রোহিঙ্গাদের প্রতি সকল প্রকার ধর্মীয়, রাজনৈতিক স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে মানবিক সাহায্য সহযোগিতার আহবান জানিয়েছেন।

বর্তমানে তিনি হজের সফরে পবিত্র মক্কায় অবস্থান করছেন। ১৫ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতির মাধ্যমে তিনি রোহিঙ্গাদের পাশে থাকার আহ্বান জানান।

তিনি মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করায় উলামা মাশায়েখসহ বাংলার মুসলিমদের প্রশংসা করেন।আর রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশ সরকারকে সাধুবাদ জানান। সেই সাথে নমনীয়তা দেখানোয় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারসহ যেসব দেশ রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে তাদের ধন্যবাদ জানান।

রোহিঙ্গা মুসলিমদের মিয়ানমারের সেনাবাহিনী-পুলিশ ও রাখাইন বৌদ্ধরা বর্বরোচিত গণহত্যা, ধর্ষণ, বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতন চালিয়ে বার বার মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের সকল প্রকার নাগরিক ও মানবিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক আদালতে রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যা ও ধর্ষণের বিচার এবং মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যে মানবিক বিপর্যয় রোধ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার জন্য ফুরফুরার শায়েখ পরামর্শ দিয়েছেন।

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধনযজ্ঞে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ মগদের উদ্বুদ্ধ করায় সে দেশের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সুচিকে দায়ী করেন তিনি।

শাইখ মিশকাত সিদ্দিকী মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের পাশাপাশি ঐক্যবদ্ধ ব্যবস্থা নিতে মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। রোহিঙ্গা সংকটে জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক সংস্থা, ও স্বঘোষিত মানবাধিকারের ধ্বজাধারীদের নীরবতার তীব্র নিন্দা জানান।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গারা বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছে। অনেকেই বাংলাদেশে প্রবেশ করা সর্বস্ব হারানো রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ কার্যক্রমের উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেছেন। এটা সত্য, এই মুহূর্তে এর চেয়ে জরুরি কাজ আর কিছু নেই। কিন্তু আমি নিজে হজের সফরে দেশের বাইরে। সেজন্য সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারছি না।

তবে অনেকেই ব্যক্তি, প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে উদ্যোগ নিচ্ছেন, যাঁর প্রতি আপনার আস্থা ও নির্ভরতা হয় তাঁর সাথে আপনারা যোগ দিতে পারেন এই মহৎ কাজে। তবে সেটা অবশ্যই হতে হবে খুবই সচেতনতার সাথে।

আর সরকারের প্রতি এই আশাবাদ ব্যক্ত করি, ত্রাণ কার্যক্রম শুধুমাত্র সরকারি ভাবে সীমিত পর্যায়ে না রেখে, বাংলার আপামর মুসলিমদের আরাকানের মজলুম রোহিঙ্গা ভাই-বোনদের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ দিন।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ