বশির ইবনে জাফর: বার্মার রাখাইনে মুসলমানদের ওপর অমানবিক অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ ও বাড়িঘর জ্বালিয়ে বাংলাদেশে তাড়িয়ে দেয়ার প্রতিবাদে পুরাতন ঢাকার আলেম-ওলামা, ইমাম-খতীব ও তাওহদীদি জনতার উদ্যোগে এক বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
আজ শুক্রবার বাদ জুমা পুরাতন ঢাকার বিভিন্ন মসজিদ থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আজিমপুর এতিমখানা রোডে একত্রিত হয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল আজিমপুর মোড়, গোর শহীদ মাজার ও লালবাগ চৌরাস্তা হয়ে লালবাগ শাহী মসজিদের সামনে মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
লালবাগ মাক্কী মসজিদের খতীব মাওলানা মুহিবুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন মুফতী আমিনীর বড় জামাতা মাওলানা যুবায়ের আহমদ, মুফতী তৈয়্যেব হোসাইন, মাওলানা আবুল কাশেম, মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক, মাওলনা ক্বারী খালিদ মোশারফ, মাওলানা বেলায়েত হোসাইন ফিরোজী, কাজী মাওলানা আজিজুল হক, মাওলানা নাসির উদ্দীন, মাওলানা আনছারুল হক ইমরান প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, আরাকান মুসলমানদের আদি নিবাস, তারা সেখানকার নাগরিক। তাদের হত্যা করা, ধর্ষন করা, বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দিয়ে ভিটাবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। রাখাইনে মুসলিম নির্যাতন অব্যাহত থাকলে প্রয়োজনে বিশ্বের মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধভাবে রাখাইন দখল করে স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র ঘোষণা করা হবে।
বক্তারা জাতিসংঘ, ওআইসিসহ বিশ্বের সব বৃহৎ শক্তিগুলোকে বার্মার বিরুদ্ধে অবরোধসহ প্রয়োজনে সামরিক শক্তি প্রয়োগের আহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা মুসলমানদের শুধু আশ্রয় দিলেই হবে না; বরং তাদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য জান-মাল নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ সরকার এদের আশ্রয় দিয়ে মানবিকতা প্রদর্শন করলেও মুসলমান ভাইদের রক্ষায় কুটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে প্রয়োজনে বার্মা সরকারের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ করতে হবে। বার্মার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এদেশের ১৬ কোটি মানুষ প্রস্তুত রয়েছে। প্রয়োজনে রাখাইন দখল করে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করতে বাধ্য হবে।
সভায় রাখাইনের নির্যাতিত মুসলমানদের সবধরনের সাহায্য করার জন্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মুসলিম নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।