বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

‘মজলুম রোহিঙ্গাদের রক্ষায় ২১ সেপ্টেম্বর সিলেট থেকে কক্সবাজার রোডমার্চ’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: নজিরবিহীন গণহত্যা ও নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গাদের পক্ষে ‘হিউম্যানিটি ফর রোহিঙ্গা বাংলাদেশ’ ঘোষিত টেকনাফ অভিমুখে রোডমার্চ কর্মসূচি সম্পর্কে আজ ডিআরইইউ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংগঠনের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি এডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে রোডমার্চ কর্মসূচীর বিবরণ দিয়ে বলেন, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সিলেট হুমায়ূন রশিদ চত্বর থেকে রোডমার্চ কাফেলা রওয়ানা হয়ে হবিগঞ্জ, বি-বাড়ীয়া, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের একাধিক স্থানে পথসভা করে ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল ৩টায় টেকনাফে গিয়ে মহাসমাবেশে মিলিত হবে।

শাহীনূর পাশা বলেন, মজলুম রোহিঙ্গাদের রক্ষায় এই মানবিক কর্মসূচি সফলে দেশবাসীর সমর্থন, সহযোগিতা ও রোডমার্চে অংশীদার হওয়ার জন্য আহবান জানান।

তিনি আরো বলেন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই, তিনি বিলম্বে হলেও শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, রোহিঙ্গাদের তাদের স্ব-ভূমি তথা রাখাইনে ফিরিয়ে নিতে মায়ানমারকে আহবান জানিয়েছেন, সংসদে এবং উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের পক্ষে জোরালো বক্তব্য রেখেছেন এবং যতোদিন তারা বাংলাদেশে থাকবে তাদের পাশে থাকার অঙ্গিকার করেছেন।

সংগঠনের উপদেষ্টা সাবেকমন্ত্রী মুফতী মুহাম্মদ ওয়াককাস বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, দীর্ঘদিন যাবৎ বার্মায় রোহিঙ্গা মুসলিমসহ ভিন্নধর্মী লোকদের উপর নির্যাতন, নিপীড়ন চলছে। নারী শিশুদের ধর্ষণ করে টুকরোটুকরো করে কেটে ফেলা হচ্ছে। ব্রাশফায়ারে ঝাঁঝরা করার পর মৃতদেহগুলোকে পোড়ানো হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কোন বিবেকবান মানুষ নিশ্চুপ থাকতে পারে না। মায়ানমারে সরকারী নির্দেশনায় বিভিন্ন বাহিনীর পাশাপাশি উগ্র রাখাইন কর্তৃক গণহত্যা বন্ধে সবাইকে সোচ্চার হয়ে কার্যকরী প্রতিবাদ গড়ে তোলা প্রতিটি বিবেকবান মানুষের নৈতিক দায়িত্ব।

তিনি আরো বলেন, প্রতিবেশী দেশে সংঘটিত এই সংকটের বড় ধাক্কা পোহাতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। এই সমস্যা উত্তরণে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। ইতোমধ্যেই মায়ানমারের সেনাবাহিনী ১৭বার আমাদের আকাশ সীমা লংঘন করলেও বাংলাদেশের দিক থেকে মৌখিক প্রতিবাদ ছাড়া আর কোনো নড়াচড়া আমরা দেখতে পাইনি।

আশার কথা হলো, দেশের জনগণ দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেছেন। সরকারের পদক্ষেপের দিকে না তাকিয়ে তারা ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিপন্ন রোহিঙ্গাদের সাহায্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। এই বিপুল জনমতকে পুঁজি করে সরকার গণহত্যা বন্ধে মায়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে তাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়া ও পুনর্বাসনের জন্য সরকারকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন রোডমার্চ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য মাওলানা গোলাম মহিউদ্দীন ইকরাম, মুফতী রেজাউল করীম, মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান, মাওলানা আলী নুর, মাওলানা তৈয়বুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা হাম্মাদ গাজিনগরী, মুফতী তোফায়েল গাজালী, মুফতী আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া, মুফতী আবু সাঈদ, মুফতী আতাউর রহমান খান, মাওলানা আলিমুদ্দীন, মাওলানা তোফায়েল উসমানী প্রমুখ৷


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ