আওয়ার ইসলাম: আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন (নাছিম)-এর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেন, দেশের কোন জেলা রেলওয়ের নেটওয়ার্কের বাইরে থাকবে না। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল জেলা এই নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে।
মন্ত্রী বলেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের আরো ১৫টি জেলাকে রেলওয়ের নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে সরকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, রেলওয়ের যেসব প্রকল্প চলমান রয়েছে এগুলো বাস্তবায়িত হলে ২০২২ সালের মধ্যে দেশের ৯টি জেলা রেলওয়ের নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। জেলাগুলো হলো- মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, বরিশাল, বান্দরবান, কক্সবাজার ও নড়াইল।
মুজিবুল হক বলেন, সরকার ২০১০ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০ বছর মেয়াদী মহাপরিকল্পনা অনুমোদন দিয়েছে। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে দেশের আরো ৬টি জেলা রেলওয়ের নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। জেলাগুলো হলো- শেরপুর, ঝালকাঠি, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, পটুয়াখালী ও বরগুনা।
তিনি বলেন, দেশের অবশিষ্ট জেলাগুলো পর্যায়ক্রমে রেলওয়ের নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে।
মন্ত্রী বলেন, সরকার গৃহীত পরিকল্পনার আওতায় রেলপথ সম্প্রসারণের চলমান প্রকল্পগুলো হলো- দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের সন্নিকটস্থ গুনধুম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ সিঙ্গেল রেলওয়ে লাইন নির্মাাণ, কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া সেকশনের পুনর্বাসন এবং কাশিয়ানী-গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া নতুন রেলপথ নির্মাণ।
খুলনা থেকে মংলা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ, পাঁচুরিয়া-ফরিদপুর-ভাঙ্গা রেলপথ পুনর্বাসন ও নির্মাণ, ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে ঢালারচর পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণ, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, বিশদ নকশা প্রণয়ন ও দরপত্র দলিল প্রস্তুতসহ ভাঙ্গা জংশন (ফরিদপুর) থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা।
আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেল সংযোগ নির্মাণ (বাংলাদেশ অংশ), চট্টগ্রামের জানালীহাট স্টেশন-চুয়েট-কাপ্তাই পর্যন্ত ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা, যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা হয়ে মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং বগুড়া থেকে শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশন পর্যন্ত নতুন ডুয়েলগেজট রেললাইন নির্মাণ।