আওয়ার ইসলাম : নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নিরপেক্ষ অস্থায়ী সরকারের অধীনে নির্বাচন পরিচালনা, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক কিংবা বিরোধপূর্ণ কোনো আইন ও শর্ত আরোপ না করার প্রস্তাব দিয়েছে।
দলের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হকের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ গ্রহণ করেন।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের নায়েবে আমীর মাওলানা যোবায়ের আহমদ আনসারী, মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কোরবান আলী কাসেমী, মাওলানা বদিউজ্জামান, মাওলানা আব্দুল আজিজ, অফিস ও বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক নূর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা মুহসিনুল হাসান, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ ভূইয়া, নির্বাহী সদস্য মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা এনামুল হক মূসা।
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।
পেশকৃত প্রস্তাবগুলো হচ্ছে,
১. নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নিরপেক্ষ অস্থায়ী সরকারের অধীনে নির্বাচন পরিচালনা করা।
২. নির্বাচনী কার্যক্রম শুরুর দিন থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়সহ কমিশন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখা এবং নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনের সাত দিন আগে থেকে নির্বাচনের ৭২ ঘন্টা পর পর্যন্ত সেনাবাহিনী মোতায়েন করা ।
৩. নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব এবং সকল অপতৎপরতা বন্ধ করা ব্যক্তিগত প্রচার নিষিদ্ধ করে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সকল প্রার্থীদের প্রচারণার ব্যবস্থা করা। একই পোস্টারে সকল প্রার্থীর পরিচয় ও প্রতীক এবং একই মে সকল প্রার্থীর বক্তৃতার আয়োজন করা। আর এজন্য জামানতের সাথে এসব কর্মকাণ্ডের খরচের টাকা প্রার্থী/দল থেকে নেওয়া যেতে পারে।
৪. নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নিস্পত্তি করা।
৫. ইতিপূর্বেকার সকল জাতীয় নির্বাচনের আসন সীমানাকে সামনে রেখে এবং নির্বাচন কমিশনের গৃহীত কর্মপরিকল্পনার আলোকে নতুনভাবে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস করা।
৬. আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে অতীতের আইনের যেসব প্রতিবন্ধকতা আছে তা দূর করার জন্য একজন কমিশনের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা।
৭. নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল আইন বাংলা ভাষায় রূপান্তর ও সর্বজনবোধগম্য করে প্রকাশ করা।
৮. ধর্ম ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী কোনো দল বা শক্তিকে নিবন্ধন না দেয়া।
৯. রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক কিংবা বিরোধপূর্ণ কোনো আইন ও শর্ত আরোপ না করা ।
১০. নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পূর্বে সংসদ ভেঙ্গে দেয়া।
১১. নির্বাচন চলাকালীন সময়ে সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও লাইসেন্সকৃত অস্ত্র জমা নেয়ার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
১২. অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার ব্যবস্থা করা।
১৩. নিরপেক্ষভাবে ভোটের সংবাদ প্রচারে/সরাসরি সম্প্রচারে মিডিয়ার উপর কোনোরূপ বাধা সৃষ্টি না করা।
১৪. প্রতিটি ভোট কেন্দ্র সিসি ক্যামরার আওতায় আনা (সিল মারার স্থান ব্যতীত)।
১৫. প্রবাসী ভোটারদের ভোট গ্রহণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।