মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর হত্যা-নির্যাতনের শিকার হয়ে উদ্বাস্তু হয়ে পড়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাময়িক আশ্রয় দেয়ার কথা জানিয়েছে মালয়েশিয়া।
এক্ষেত্রে পলায়নপর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বহনকারী নৌকাগুলোকে ফেরত পাঠাবে না মালয়েশিয়ার কোস্টগার্ড। বরং তারা শরণার্থীদের সাদরেই সাময়িক আশ্রয় দেবে।
শুক্রবার মালয়েশীয় কোস্টগার্ডের প্রধান জুলকিফলি আবু বকর এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাধারণত আমরা জরুরি মানবিক সাহায্য দিয়ে তাদের নৌকার যাত্রাকে অব্যাহত রাখতে চেষ্টা করি এবং তাদের অন্যদিকে ফিরিয়ে দিই। কিন্তু দিনের শেষে মানবিক কারণে আমরা এখন আর তা করতে পারব না।
বরং রাখাইনের চলমান সঙ্ঘাতময় পরিস্থিতিতে এবার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কেউ দেশটিতে এলে তাদের সাময়িক আশ্রয় দেয়া হবে বলে জানান জুলকিফলি।
মুসলিমপ্রধান দেশ মালয়েশিয়া জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেনশনে স্বাক্ষর করেনি। তারা শরণার্থীদের অবৈধ অভিবাসী হিসেবে গণ্য করে।
বর্তমানে দেশটিতে এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে। আন্দামান সাগরের কয়েকশ মাইলের বিপজ্জনক সাগর পাড়ি দিয়ে রোহিঙ্গাদের সেখানে যেতে হয়।
নতুন করে রোহিঙ্গারা মালয়েশিয়ায় গেলে তাদের অভিবাসন বিভাগের বন্দিশালাগুলোতে থাকার জন্য ঘর পাবে বলে জানান জুলকিফলি। তবে এখানে থাকা বিদেশিদের কোনো ধরনের কাগজপত্র ছাড়াই আটকে রাখা হয়।