বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

‘মিয়ানমারের অবৈধ অনুপ্রবেশের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

চট্টগ্রাম: আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বাদ জুমা ফেনীর ঐতিহাসিক মিজান ময়দানে ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ ফেনী জেলা শাখার উদ্যোগে “আদর্শ সমাজ গঠনে ওলামায়ে কিরামের ভূমিকা” শীর্ষক ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন, ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ ফেনী জেলার আহ্বায়ক মুফতি ইউসুফ কাসেমী। সঞ্চালনা করেন, জেলা সদস্য সচিব মাওলানা আবদুর রাজ্জাক ও যুগ্ম আহবায়ক মুফতি আবদুর রহমান গিলমান।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন, শাইখুল হাদিস আল্লামা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।

প্রধান অতিথি তাঁর আলোচনায় বলেন, মিয়ানমার অবৈধভাবে সতের বার বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহার করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে তাদের তেমন কোন প্রতিবাদ করেনি। আমার আজকের এই সম্মেলন থেকে এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মিয়ানমার যদি আবারো বাংলাদেশের সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে, তাহলে বাংলাদেশের জনগণ তার সমুচিত জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা চরম পর্যায়ে অধঃপতনে নিমজ্জিত। গুম, খুন, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, মারমারি, হানাহানি, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, কায়েমী স্বার্থবাদ ইত্যাদি এই সমাজের প্রতিদিনকার চিত্র। সন্তানহারা মায়ের হাহাকার, স্বামীহারা স্ত্রীর আহাজারী, ভাইহারা বোনের আর্তনাদে এই সমাজের আকাশ বাতাশ ভারি হয়ে উঠছে প্রতিনিয়ত। কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের হাড়ভাঙা পরিশ্রমে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে আবার তাদের ওপরই চালানো হচ্ছে অমানবিক নির্যাতন। মানুষের জান-মাল, ইজ্জত-আব্রুর কোন নিশ্চয়তা নেই। স্বাধীনভাবে ধর্ম-কর্ম পালনের কোন স্বাধীনতা নেই। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ইত্যাদি মৌলিক অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সবমিলিয়ে এই সমাজকে মানুষের সমাজ বলা যায় না।

তিনি বলেন, সমাজের মানুষ বাঁচার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। শান্তির জন্য দিকবিদিক ছোটাছুটি করছে। একেকবার একেক তন্ত্র-মন্ত্রের আশ্রয় নিচ্ছে। কিন্তু কোথাও শান্তি খুঁজে পাচ্ছে না। প্রকৃতপক্ষে শান্তির গ্যারান্টি রয়েছে একমাত্র ইসলামে। সমাজে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হলেই মানুষ কাঙ্ক্ষিত মুক্তি এবং শান্তি খুঁজে পাবে। আর ইসলাম প্রতিষ্ঠার এই কাজের জন্য আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে নবী রাসুল আ. দের পাঠিয়েছেন। এখন আর নবী রাসুলদের আগমন ঘটবে না। তাই নবী রাসুলদের উত্তরসূরী ওলামায়ে কেরামকেই এই দায়িত্ব পালন করতে হবে। ওলামায়ে কেরামদের দ্বারাই সম্ভব একটি আদর্শ সমাজ গঠন করা।

বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশিষ্ট ইসলামী দার্শনিক, ড. আফম খালিদ হোসাইন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- ধুমসাদ্দা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুল আউয়াল, জামেয়া মাদানিয়া রশিদিয়া মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম মুফতি আহমাদুল্লাহ, মজলিসে দাওয়াতুস সুন্নাহ-এর আমীর মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, ফেনী পাবলিক হেলথ মসজিদের খতিব, মাওলানা নুরুল করীম বেলালী, ফেনী কামাল হাজারী মসজিদের খতিব, মাওলানা কাজী গোলাম কিবরিয়া, ফেনী কোর্ট মসজিদের খতিব, মাওলানা মীর হোসাইন, লালপোল সোলতানিয়া মাদরাসার মুঈনে মুহতামিম, মাওলানা কারী মোহাম্মাদ কাসেম, মানুমিয়ার বাজার মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম, মুফতি আহসানুল্লাহ, বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা পরিষদের সেত্রেটারি জেনারেল মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন, মাওলানা নুরুল করীম, মাওলানা তৈয়ব সোলতানী, মাওলানা আবদুল হালিম, মাওলানা আবদুর রহিম, মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ প্রমুখ শীর্ষ উলামায়ে কিরাম।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ