প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতিগত সহিংসতার জেরে নির্যাতনের মুখে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছেন মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদেরকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। আর এসব রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ দিচ্ছি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তৃতায় তিনি আরো বলেন, ‘একটি দেশের নাগরিক কেন শরণার্থী হয়ে আরেক দেশে এসে আশ্রয় নেবে? এটা ওই দেশের জন্য সম্মানজনক নয়। বিষয়টি মিয়ানমারকে উপলব্ধি করতে হবে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে তিনি মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানান।’
রোহিঙ্গাদের এই করুণ অবস্থার কথা তুলে ধরে এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত যেসব রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে তাদের ফিরিয়ে নেয়া উচিৎ। মায়ানমারে একটা ঘটনা ঘটলো, উদ্বাস্তু হয়ে আমাদের দেশে অনেকে এলো। ১৯৭৮ সাল থেকে এরকম উদ্বাস্তু আসছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তারা আশ্রয়ের আশায় আসছে। নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমরা তাদের আশ্রয় দেয়ার ও কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করছি। পাশাপাশি মায়ানমারকে চাপ দিচ্ছি যাতে তারা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়।
দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেভাবে এগিয়ে যাক। আমরা চাই মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন। এটাই ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন।’ পচাত্তরের ১৫ আগস্টের নৃশংস ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তিনি। একই সঙ্গে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহতদের কথা স্মরণ করেন।
বিএনপি-জামায়াতের বিগত আন্দোলনে সহিংসতা ও নাশকতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের নামে দেশে যেন আর এমন নৃশংস ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে সবার সতর্ক থাকতে হবে।