মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদের ডামাডোলের মধ্যে দেশটি থেকে চাল আমদানির চুক্তি করতে মিয়ানমার গেলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
গতকাল বুধবার খাদ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল মিয়ানমার গেছে। দলটি মিয়ানমার থেকে বছরে ১০ লাখ টন চাল আমদানির ব্যাপারে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর (এমওইউ) করবে। পাশাপাশি দ্রুত ২ থেকে ৩ লাখ টন চাল আমদানির ব্যাপারেও চুক্তি করার আশা করছে তারা।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে খাদ্যমন্ত্রী ছাড়াও আছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আতাউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক তোফাজ্জল হোসেন মিঞা, খাদ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। মন্ত্রীর নিজের খরচে তাঁর স্ত্রী তায়েবা ইসলামও সফরসঙ্গী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। দলটি ৯ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার ছাড়বে বলে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা নির্দেশে বলা হয়েছে।
এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর খাদ্যসচিব মো. কায়কোবাদ হোসেন ও উপসচিব জহিরুল ইসলাম খাদ্যনিরাপত্তা ও পুষ্টি বিষয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলম্বিয়া যান। খাদ্যমন্ত্রীর মতো খাদ্যসচিবেরও ৯ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবের একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণ সাধারণভাবে পরিহার করার কথা বলা হয়েছে। অবশ্য জাতীয় স্বার্থে বিশেষ ক্ষেত্রে তা করা যেতে পারে।
‘ভৌগলিক কারণে মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা সহজ নয়’