আওয়ার ইসলাম : নাফ নদীতে থামছেই না লাশের মিছিল। নাফ নদী থেকে উদ্ধার হওয়া লাশের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬-তে। নৌকাডুবি বা গুলিবিদ্ধ হয়ে এসব লোকের মৃত্যু হয়েছে। নদীতে ভেসে আসা লাশগুলো স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা উপরে তোলেন।
নাফ নদে লাশের মিছিল স্থানীয়দের মনে আতংক ও রোহিঙ্গাদের মাঝে আহাজারি সৃষ্টি করছে।
রোহিঙ্গাবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় বুধবার প্রথম ৪ নারী-শিশুর লাশ পাওয়া যায় শাহপরীরদ্বীপ এলাকার সৈকতে। বৃহস্পতিবার উদ্ধার করা হয় আরো ১৯ জনের লাশ।
শুক্রবার ফের পাওয়া যায় ২৩ লাশ।
ঈদের দিন সকালে নাফ নদীর টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ পয়েন্ট থেকে একজন ও রাতে হোয়াইক্যং পয়েন্ট থেকে মেলে দুইজনের লাশ।
রোববার রাত সাড়ে ৮টা থেকে সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে আরো দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়।
সবশেষ উদ্ধার হওয়া লাশ দুটির মধ্যে একজন শিশু ও একজন নারী।
গতকাল রাতে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। সোমবার সকালে উদ্ধার করা হয় নারীর লাশ।
পুলিশ ছাড়াও বিজিবি নিজেরা উদ্ধার করে আরও ৪টি মরদেহ।
এ নিয়ে গত বুধবার থেকে সোমবার পর্যন্ত নাফ নদী থেকে ৫৬ জন রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি মাইন উদ্দিন খান।
টেকনাফ থানার ওসি বলেন, নিহতদের সবার পরনে স্থানীয় বার্মিজ পোশাক ছিল। লাশগুলো স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।