আওয়ার ইসলাম : নাফ নদী থেকে আরো ১৭ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, তিনজন নারী ও দুটি শিশু রয়েছে।মিয়ানমার থেকে নৌকায় করে বাংলাদেশে আসার সময় নাফ নদীতে তারা ডুবে যায।
শুক্রবার সকালে উপজেলার খাড়াংকালি ও শাহপরীর দ্বীপ থেকে উদ্ধার হওয়া ওই মৃতদেহগুলো মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের বলে সমকালকে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, মৃতদেহের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতেরর চিহ্ন রয়েছে। উদ্ধারের পর মৃতদেহগুলো স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ওইসব এলাকায় রাখা হয়েছে।
টেকনাফ থানার ওসি মো. মাইনউদ্দিন খান জানান, এ নিয়ে ৩ দিনে ৩৯ জন রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার হলো।
স্থানীয় ব্যবসায়ী নুর অালম বলেন, এগুলো রাখাইন রাজ্যে সহিসংসতার ঘটনায় হত্যার শিকার হওয়া ব্যক্তিদেরই মৃতদেহ। সেখানে হত্যার পর তাদের নাফ নদে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।
গত সপ্তাহে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ৩০টি পুলিশ ফাঁড়ি ও একটি সেনাঘাঁটিতে সমন্বিত হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে অন্তত ৮৯ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ১২ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং বাকি ৫৯ জন 'রোহিঙ্গা মুসলিম বিদ্রোহী' বলে দেশটির সরকার ও সেনাবাহিনী নিশ্চিত করে।
এর আগে গত বছরের ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য মারা যান। অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটের ঘটনা ঘটে।
জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। জাতিগতভাবে নির্মূল করতে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের গ্রামে আগুন দিয়ে বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়াসহ গণহত্যা ও গণধর্ষণ চালায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
আরএম