আসন্ন কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েই চলেছে। ঘরমুখো মানুষের স্রোত, গরুবাহী ও মালবাহী ট্রাকসহ অতিরিক্ত গাড়ির চাপের কারণে মহাসড়কে ধীর গতিতে চলাচল করছে যানবাহন। এছাড়া মহাসড়ক সংস্কারে কারণে সৃষ্টি হয়েছে এই যানজট।
আজ সোমবার ভোর থেকে কয়েকটি পয়েন্টে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে এই যানজট কোথাও ১৫/২০ মিনিটের মতো বেশি স্থায়ী হয়নি।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে কালিহাতীর এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেনের কাজ চলছে। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের ২৬টি জেলার ৯২টি রোডসহ ১২২ রোডের যানবাহন এ মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করায় রাস্তায় যানবাহনের চাপ বেশি লক্ষ্য করা গেছে। এর ফলে মহাসড়কে যানবাহন ধীর গতিতে চলাচল করছে। এর মধ্যে ফিটনেসবিহীন যানবাহন রাস্তায় বিকল হওয়া ও ছোট খাটো দুর্ঘটনার কারণে মাঝে মধ্যেই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে যানজটের সূত্রপাত হলেও মির্জাপুরের ধেরুয়া রেলক্রসিং, গোড়াই বাসস্ট্যান্ড, মির্জাপুর বাইপাস, পাকুল্লা, নাটিয়া পাড়া, করটিয়া, পৌলি ও এলেঙ্গা পয়েন্টে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপারের সময় ওজন স্কেলে মালামাল ওজনের জন্য লোড-আনলোড করতে গিয়ে ট্রাকের দীর্ঘলাইন পড়ে যাচ্ছে।
যার কারণে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওজন স্কেল থেকে মহাসড়কের একলেনে ৩/৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ট্রাকের লাইন থাকে। এই লাইন ভোর রাত থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত থাকে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) মাহবুব আলম জানান, মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় চলছে সংস্কার কাজ। এর ফলে মহাসড়কের অনেকাংশেই একপাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করাই কয়েকটি পয়েন্টে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে হাইওয়ে ও জেলা পুলিশ সঠিক তদারকির কারণে কোথাও যানজট দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। মহাসড়ক সচল রাখতে সোমবার থেকে সাতশ পুলিশ মহাসড়কে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।