আওয়ার ইসলাম : বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু সীমান্ত লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেছে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তুমব্রু ২নং পিলারের কাছে ৮ থেকে ১০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেছে তারা। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরে দুঃখপ্রকাশ করে বিজিপি।
৩৪ বিজিবি'র অধিনায়ক লে. কর্নেল মনজুরুল হাসান খান জানান, মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সীমান্তে গুলিবর্ষণ করেছে। এ ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিবি। এরপর ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছে বিজিপি।
তিনি বলেন, সীমান্তে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে খুব শক্ত অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী। বিজিবির পাশাপাশি সরকারের অন্যান্য সংস্থাও সীমান্তে কাজ করছে। গত দুইদিন ধরে অসংখ্য রোহিঙ্গা প্রাণভয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল। কিন্তু বিজিবি কঠোর হাতে তা দমন করেছে।
কফি আনান কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে মিয়ানমারের মংডুর নাইকাদং ও কোয়াংছিদং গ্রামে রোহিঙ্গাদের উপর গুলিবর্ষণ শুরু করে বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। এসময় ১৭ পুলিশ ও ৭৭ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের দিকে ছুটে আসছে বলে জানান সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে বৃহস্পতিবার রাতভর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ২১ রোহিঙ্গা ও ১১ পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার খবর খবর পাওয়া যায়। এখনো সংর্ঘষ অব্যাহত রয়েছে।
সংর্ঘষের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে প্রাণ বাঁচাতে শত শত মুসলিম রোহিঙ্গা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার গুমধুম,তুমব্রু, দোছড়ির আশারতলী এবং কক্সবাজারের টেকনাফ নদীর বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রেবেশের অপেক্ষায় আছে।
৩৪-বিজিবি'র অধিনায়ক লে. কর্নেল মনজুরুল হাসান খান জানান, মিয়ানমারে সংর্ঘষের ঘটনার পর ভয় পেয়ে অনেক রোহিঙ্গা মুসলমান জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার জন্য ওই দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অপেক্ষায় রয়েছে। রোহিঙ্গারা যাতে এ দেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য তিনিসহ বিজিবির কর্মকর্তারা সীমান্ত পাহারা দিচ্ছেন।
-এজেড